আবির ইসলাম, বীরভূম : বীরভূমে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। আগুন জ্বলল গ্রামে। চোখের নিমেষে ছাই হয়ে গেল বাড়ির পর বাড়ি। দমকল এসে পোড়া ঘর থেকে বের করল একের পর এক ঝলসে যাওয়া দেহ। 


বকটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন
স্থানীয় সূত্রে খবর, উপপ্রধানের খুনের পর এলাকায় তাণ্ডব চালায় তাঁর অনুগামীরা। রাতেই বকটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। দমকলের দাবি, উদ্ধার হয়েছে ১০টি মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে গেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও, বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর দাবি, বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


যদিও ১০ বাড়িতে আগুন লাগার কথা মানতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি, টিভি সেটে বিস্ফোরণ হয়ে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে! আবার অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে। তবে তাঁর মতে, ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগেনি, লেগেছে ৩-৪ টি বাড়িতে। 


কে আগুন ধরালো? প্রতিহিংসা? কীভাবে ছড়ালো আগুন? উপপ্রধানের খুনের সঙ্গে বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।  সোমবারই জাতীয় সড়কের ধারের দোকানে চা খাওয়ার সময়, উপপ্রধানকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু হয় উপপ্রধানের। তারপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।  



 ঘটনাস্থলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল


রামপুরহাটের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কথা জেনেই কলকাতা থেকে হেলিকপ্টার করে  ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।  সেই দলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। 


উপপ্রধানের ওপর হামলার সময় সেখানে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সেই প্রত্যক্ষদর্শীরা দুষ্কৃতীদের চিনতে পেরেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।  গ্রামে উত্তেজনা থাকায় সেখানে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।  
সোমবার জাতীয় সড়কের ধারে, দোকানে চা খাওয়ার সময়, তাঁকে লক্ষ্য বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। কিন্তু, তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।