নান্টু পাল, বীরভূম: বগটুই গ্রামে রয়েছেন একাধিক উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। রয়েছে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও। বগটুইকাণ্ডের পর ভয়ে কাঁটা তাঁরা। মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গেই দেখা করল বীরভূমের জেলা প্রশাসন। এদিন ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন বীরভূমের জেলা শাসক (DM) বিধান রায়, মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস। ওই দলে ছিলেন ব্লক আধিকারিক এবং আরও একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক। আগামী ২রা এপ্রিল থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary)। তার আগে পরীক্ষার্থীদের ভরসা জোগাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করল জেলা প্রশাসন। পড়ুয়ারা যাতে ভাল করে পরীক্ষা দেন তা নিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলাশাসক। পড়াশোনার খোঁজখবরও নেন।
কী বললেন জেলাশাসক:
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, 'আগামী ২ তারিখ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। বগটুই গ্রামে ২২ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। এটা জেনেই আমি গ্রামে এসেছি। এই বাচ্চারা পরীক্ষা দেবে। প্রস্তুতি কেমন হয়েছে তার খোঁজ খবর নিতে এসেছি। তারা যাতে ভয় না পার তার জন্য বলেছি। বাবা-মা কে বলেছি ঠিকঠাক ভাবে পরীক্ষার প্রথম দিন ওই বাচ্চাদের সকাল সকাল স্কুলে পাঠাতে। ওই পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড (admit card) পেয়েছে কি না সেটাও খোঁজ নেওয়া হয়েছে।'
আতঙ্কের ছবি:
বগটুইয়ে ভয়াবহ সেই ঘটনার পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। তারপরেও কমেনি আতঙ্ক (fear)। ভয় নিয়ে, আতঙ্ক নিয়েই উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেই এলাকায় পডুয়ারা। এখনও পড়তে বসলেই যেন চোখের সামনে ভাসছে সেদিনের ঘটনা। কদিন পরেই পরীক্ষা কিন্তু, মনের যা অবস্থা এখনও মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছেন না কেউ। তার উপর এলাকায় বারবার আসছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে ভাল করে পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। এই গ্রামের ১৩ জন দ্বাদশ শ্রেণির এবং ২২ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রামপুরহাট বিদ্যাভবনের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী সুহানা খাতুন। ঘটনার পর থেকেই, বাবা ও ভাই এলাকা ছাড়া। মায়ের সঙ্গে কোনওরকমে বাড়ি আগলে পড়ে রয়েছে এই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সুহানা খাতুন বলেন, 'মন বসাতে পারছি না। এখন দেখছি সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।' একই অবস্থা, সুহানার বন্ধু শিখা খাতুনেরও। তিনি বলেন, 'আতঙ্কে ভালভাবে পড়তে পারছি না।'
আরও বলুন: বিজেপি-কে রুখতে চাইলে বিরোধী ভোটে ভাগ বসানো কেন? জোট ঐক্য নিয়ে মমতাকে পাল্টা সুজনের