অর্ণব মুখোপাধ্যায়: সোমবার রাতে নিজের স্ত্রী ও সাত বছরের মেয়েকে হারিয়েছেন মিহিলাল শেখ। এই আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসও। বৃহস্পতিবারই বগটুই গ্রামে পৌঁছে স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী।               


সিটেও আস্থা, সিবিআইতেও?


এদিকে, শুক্রবারই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য আর কোনও তদন্ত করবে না। ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। এই নির্দেশের পর মিহিলাল শেখ বলেন, "চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, না হলে সিবিআই তদন্ত। মুখ্যমন্ত্রী এসে ভরসা জুগিয়েছেন। তাই সিটের তদন্ত চলছে তাতে ভরসা আছে। হাইকোর্ট কী নির্দেশ দিয়েছে জানি না।"                           


রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া স্বজনহারা মিহিলাল শেখের। এদিকে, ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ। রামপুরহাটকাণ্ডে বিচারের স্বার্থে, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এই নির্দেশ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। 


আরও পড়ুন, রামপুরহাটকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের


আদালতে আনারুল


এদিকে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল থেকে আনারুলকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মোবাইল ফোনের কললিস্ট।ঘটনার দিন আনারুলের সঙ্গে কাদের কথা হয়েছিল, আনারুলকে কেউ কোনও নির্দেশ দিয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর।


অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনের পরেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা। সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারা মিহিলাল শেখ-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের বাড়ির সামনে আজ সকাল থেকে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।