বীরভূম: আজ রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল (Forensic Team)। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে তারা। কীভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল, কী ধরনের দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল, খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। অন্যদিকে, রামপুরহাট (Rampurhat Fire) হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। 


বটকুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী: তৃণমূল (TMC) উপপ্রধান খুনের পরেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের পরিবার। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে ফিরলেন তাঁরা। গতকাল ডুমুরজলা থেকে কপ্টারে রামপুরহাটে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা।


হেলিপ্যাড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সার্কিট হাউসে পৌঁছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বগটুই গ্রাম। সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। এর পর আহতদের সঙ্গে কথা বলে যান রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা: এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন। পাশাপাশি যাঁদের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্যের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জীবনের বিনিময়ে কিছু হয় না, টাকা-চাকরি কখনও বিকল্প হয় না তবু সংসার চালাতে ১০ জনের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে ১০ জনের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হবে। প্রথম ১ বছর ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, পরে স্থায়ী চাকরি।‘’


কী বলছে কংগ্রেস: রামপুপহাটকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে এবার বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি, বগটুই যাওয়ার পথে দফায় দফায় অধীর চৌধুরীকে বাধা, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ রাস্তা আটকায় বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।


এদিন রামপুরহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে গুসকরা দিয়ে ঢোকার মুখে প্রথমবার অধীর চৌধুরীর কনভয় আটকায় পুলিশ। গাড়ি খারাপ তাই অপেক্ষা করতে বলা হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। এরপর বোলপুরে ঢোকার আগে রেলসেতুর কাছে ডাম্পার খারাপ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে ফের আটকে পড়ে অধীর চৌধুরীর গাড়ি। কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে চলতে শুরু করে ডাম্পার। এরপর যানজটের কারণ দেখিয়ে শান্তিনিকেতন মোড়ে আটকানো হয় অধীর চৌধুরীর গাড়ি।