Rampurhat Violence : ''আশা করি বাংলার সরকার দোষীদের শাস্তি দেবে'', বগটুই হত্যালীলা সরব নরেন্দ্র মোদি
Birbhum News Live : বকটুইয়ে হত্যালীলায় নির্দিষ্ট কিছু বাড়ি বেছে আগুন লাগানোর অভিযোগ। তদন্তে সিট, ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক
বুধবার, SIT’এর প্রধান ADG-CID জ্ঞানবন্ত সিংহ বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্য সদস্য ও তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বীরভূমের বগটুইয়ের হত্যালীলার নেপথ্যে কী রয়েছে পাথর আর বালি খাদানের কোটি কোটি টাকার বখরা নিয়ে গণ্ডগোল? ভাগ বাঁটোয়ারার লড়াই? ঘটনায় বালি মাফিয়া যোগের অভিযোগ তুলেছেন মহম্মদ সেলিম।
নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের অনুগামীরাই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। অভিযোগ নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের। এর পিছনে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, উপপ্রধান খুনে অভিযুক্তরাই আগুন লাগিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতে তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি।
কাল বগটুই গ্রামে যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। ৫ সদস্যের দলে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজি ও রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ও সাংসদ সত্যপাল সিং, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ।
সোমবার রাতের হত্যালীলার পর মঙ্গলবার থেকেই গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
''আমরা গ্রামে শান্তি চাই। দোষীদের শাস্তি চাই'', এই দাবিতে গ্রামবাসীদের মিছিল বগটুই গ্রামে।
বুধবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বগটুই গ্রামে গিয়ে, পোড়া বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন।
বগটুইকাণ্ডে মৃতদের শেষকৃত্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মৃতদের পরিবারের দাবি, দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কেউ মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। যাঁকে তাঁরা চেনেন না। তাহলে কি কিছু আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল।
ভাদু শেখের পরিবার সহ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন বাসিন্দারা। ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে জনশূন্য গোটা বগটুই।
বগটুইকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল টিভিতে বিস্ফোরণের জেরে, আগুন ছড়ানোর তত্ত্ব খাড়া করলেও, প্রত্যক্ষদর্শীদের গলায় শোনা গেছে অন্য সুর। তাদের দাবি, সোমবার বেছে বেছে বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়েও দেখা গেছে, পরপর বাড়িতে আগুন লাগেনি।
রামপুরহাটকাণ্ড উসকে দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার ছোট আঙারিয়ার ঘটনার স্মৃতি। ২১ বছরেরও বেশি আগে তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে বোমা ছুড়ে, আগুন লাগিয়ে ৫ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। বাম জমানার ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রামপুরহাটকাণ্ডের রেশ ধরে আবার তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
বগটুইকাণ্ডে আহত আরও ২, হাসপাতালে ভর্তি। রামপুরহাট হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি মহিলা, নাবালক। আতঙ্কে লুকিয়ে থাকার পরে নিজেরাই এলেন হাসপাতালে।
বগটুইকাণ্ডের প্রতিবাদে গাঙ্গুলী বাগান থেকে যাদবপুর পর্যন্ত বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিল।
বগটুই হত্যালীলা নিয়ে এবার সরব প্রধানমন্ত্রী। ''আশা করি বাংলার সরকার দোষীদের শাস্তি দেবে। যারা এই হত্যালীলা ঘটিয়েছে, তাদের যেন বাংলার মানুষ ক্ষমা না করে। অপরাধীদের দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে সাহায্য করবে কেন্দ্র'', বললেন নরেন্দ্র মোদি।
গতকাল বগটুইকাণ্ডে এসডিপিও, আইসি-কে ক্লোজ করা হয়। বগটুইকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে ‘ক্লোজ’ করা হল।
রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের এফআইআরেই তা স্পষ্ট। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৫ ও ৪৩৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে, বগটুই গ্রামে হত্যালীলা নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পুলিশের বাধার মুখে বগটুই গ্রামে ঢুকল বিজেপির প্রতিনিধিদল। প্রমাণ লোপাটের জন্যেই কাল রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। সিবিআই, এনআইএ তদন্তের দাবি।
ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর, প্রাণভয়ে সাঁইথিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের পরিবার।
রামপুরহাটকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্ট, "রাজ্যকে প্রথমে তদন্তের সুযোগ দিচ্ছে আদালত। ঘটনাস্থল মুড়ে ফেলতে হবে সিসি ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরায়। অবিলম্বে সিএফএসএল-র দিল্লির আধিকারিকরা নমুনা সংগ্রহ করবে। সাক্ষীর নাম লেখা যাবে না'', নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
ডিআইবি ও সিভিক ভলান্টিয়ারের ১২ কর্মী ক্লোজড। বগটুইকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে ক্লোজ।
সুচপুরকাণ্ড ঘটেছিল যে জেলায়, সেই বীরভূমেরই বগটুই গ্রামে হত্যালীলা। সুচপুরের দুই বাসিন্দার পুড়ে মৃত্যু হয়েছে বগটুইয়ে। বগটুইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে খুনোখুনির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে সুচপুর।
বগটুইকাণ্ডে এসডিপিও, আইসি ছাড়াও ১২ পুলিশ কর্মী ‘ক্লোজড’। ডিআইবি ও সিভিক পুলিসের ১২ কর্মীকে ‘ক্লোজ’ করা হল। গতকাল বগটুইকাণ্ডে এসডিপিও, আইসি-কে ক্লোজ করা হয়। বগটুইকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জন পুলিশ কর্মীকে ‘ক্লোজ’ করা হল।
বীরভূমের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনা ঘটার পর অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে, না হচ্ছে না? এর চেয়ে ঢের বেশি ঘটনা উত্তরপ্রদেশে ঘটছে। মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রামপুরহাটকাণ্ড উঠল সংসদে। এক সপ্তাহে ২৬টি রাজনৈতিক খুন। অভিযোগ সুকান্তর। পিছনে রাজনীতি নেই। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সব জানাব। উত্তর সুদীপের।
বকটুইকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ তিনজন ভর্তি রয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। পরিবার অভিযোগ করে, সকাল থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখা করতে দিচ্ছে না। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম হাসপাতালে পৌঁছনোর পর পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। এরপর অগ্নিদগ্ধদের পরিবারের ২ জনকে নিয়ে ভিতরে ঢোকেন সেলিম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
বকটুই গ্রামে যাওয়ার সময় বিজেপি বিধায়কদের ল্যাংচা খাওয়া নিয়ে কটাক্ষ কুণালের
কুণাল ঘোষের এমন মন্তব্য অনভিপ্রেত, প্রতিক্রিয়া অগ্নিমিত্রা পালের
রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে নৃশংস হত্যালীলার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। বাঁকুড়া সদর থানার সামনে গেট আটকে বিজেপির বিক্ষোভ। তামলিবাঁধ এলাকা থেকে মিছিল করে আসেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় আধঘণ্টা ধরে থানার গেট আটকে বিক্ষোভ চলে।
বিধানসভা ৬ নং গেটে এসইউসিআইয়ের বিক্ষোভ। রামপুরহাট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ।
‘আজ বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, যাইনি। কাল আমি রামপুরহাট যাব। আমরা সবাইকে সব জায়গায় যেতে দিই’ ... বিজেপিকে কটাক্ষ করে কাল রামপুরহাট যাওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা থেকে চারটি বাসে করে বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীরও এই দলে যোগ দেওয়ার কথা।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে ফের কড়া চিঠি রাজ্যপালের । তিনি লিখলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটবে আর আমি রাজভবনে চুপ করে থাকব, তা হয় না । আপনি বলেছেন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া রাজ্য সব সময় শান্তিপূর্ণ, এই দাবি হাস্যকর। ষড়যন্ত্রের কথা বলে আপনি অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছেন। তদন্তে অপরাধীদের খুঁজে বার করা নিয়ে আপনার আশ্বাস বাস্তববর্জিত। রাজনীতির খাঁচায় বন্দি তদন্তের উপর কোনও আস্থা নেই’ ... বীরভূমে হত্যালীলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের
নুর মহম্মদ শেখ। বকটুই গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। গ্রামে তাঁর দোকান রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী নুর মহম্মদ শেখের দাবি, তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পরই গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। মুহুমুর্মু বোমা পড়তে শুরু করে। প্রাণভয়ে সোনা ও সঞ্জু শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয় অনেকে। বাচ্চারা কাঁদছিল। একজনকে বলতে শোনা যায়, আমি জামাই, আমাকে ছেড়ে দাও। কেউ কেউ বলছিল, আগুন লাগিয়ে দে। এরপরই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের এফআইআরেই তা স্পষ্ট। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৫ ও ৪৩৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়া, ১৪৭, ১৪৮ ও ১৪৯ ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। জামিন অযোগ্য ৩২৫ ও ৩২৬ ধারাতেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নৃশংস হত্যালীলার পর বকটুই গ্রামে বাম প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। বিমান বসুর নেতৃত্বে রামপুরহাট থেকে প্রতিবাদ মিছিল বামেদের। বকটুইয়ে ঢুকতে বাধা বিমান বসুকে, আটকানো হল মিছিল।
প্রেক্ষাপট
Rampurhat News Live : রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বেছে বেছে কয়েকটি বাড়িতেই কি আগুন লাগানো হয়েছিল? আগুনে পোড়া বাড়িগুলির অবস্থান তেমন সম্ভাবনাই উস্কে দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর থমথমে গোটা গ্রাম। খাঁ-খাঁ করছে বাড়ি।
আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবারও। শিশু, মহিলা-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খড়ের গাদা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এদিকে, বকটুইয়ে হত্যালীলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০। ধৃতদের মধ্যে একজন নিহত তৃণমূল উপপ্রধানের দাদা। খবর সূত্রের।
ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর :
প্রাণভয়ে সাঁইথিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের পরিবার। শনাক্তকরণ ছাড়াই কী করে শেষকৃত্য হল, সেই প্রশ্ন তুলছে তারা। নিহতের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। তাই রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখ।
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হাইকোর্টে :
রামপুরহাটের বকটুইয়ে নৃশংস হত্যালীলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল কলকাতা হাইকোর্ট।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -