অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়া (বীরভূম) : বগটুইয়ে আক্রান্ত শিশুরাও। সাঁইথিয়ায় আশ্রয় নেওয়া আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (West Bengal Commission for Protection of Child Rights) চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী ও সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের (rampurhat violence) ভয়াবহ ঘটনার যাবতীয় বিবরণ শোনেন তাঁরা। তারপর তাঁদের যাবতীয় রিপোর্ট রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে কমিশনের। সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, 'লজ্জাজনক-দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বাঙালি হিসেবে আমাদের সবার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ কেন গোটা বিশ্বে কোথাও যেন এরকম ঘটনা না ঘটে।'


কলকাতা হাইকোর্টের (calcutta high court) নির্দেশে ইতিমধ্যে রামপুরহাটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই(CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যোগ্য তদন্ত করে দোষীদের ধরার পাশাপাশি উচিত শাস্তির ব্যবস্থা করা। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের বক্তব্য, যাতে সব বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেছেন, 'যে বাচ্চারা বেঁচে আছে তাদের ক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, তারা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।'



এদিকে,  রামপুরহাটকাণ্ডে (rampurhat violence) ষড়যন্ত্রের (conspiracy) শিকার তিনি, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রামপুরহাটকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আনারুল হোসেন (anarul hossain)। তাঁর কথায় 'ষড়যন্ত্র হয়েছে...ষড়যন্ত্র'। তবে কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে জানতে চাওয়া হলে অবশ্য আর কোনও কথা বলেননি গ্রেফতার হওয়া রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা (TMC leader)। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি আরও একটি বিস্ফোরক দাবিও করেছেন তিনি। আনারুলের দাবি, তাঁর কাছে পুলিশ (Police) ডাকার জন্য কোনও ফোন আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (mamata banerjee) বগটুই গ্রামে গিয়ে আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার আগে জানিয়েছিলেন পুলিশে ফোন করতে বলা হলেও তেমনটা করেননি আনারুল।


আরও পড়ুন- দলেই কি চাপে অনুব্রত? কুণালের খোঁচা 'উনি অনেক বড় নেতা, বেশি বোঝেন'