ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ধান বোঝাই ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যু হল ২ শ্রমিকের (Road Accident)। জখম হলেন ৬ জন। রবিবার রাতে সিউড়ি থানা এলাকার সিউড়ি-বোলপুর সড়কের (Suri Bolpur Road) বেহিরা কালিতলা মোড়ের কাছে ঘটনাটি ঘটে।
কী জানা গেল?
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ট্রাক্টরে ধান বোঝাই করে অন্তত জনা আষ্টেক শ্রমিক পাড়ুইয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাতই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। গাড়ির নিচে চাপা পড়ে যান ২ জন শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। স্থানীয়রা ছুটে এসেছিলেন, কিন্তু উদ্ধার করতে পারেননি। পরে সিউড়ি থেকে দমকল ও পুলিশ গিয়ে চাপা পড়ে থাকা ২ জনকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরাই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ট্রাক্টরে থাকা বাকি ৬ জন এই ঘটনায় জখম হয়েছেন। এই রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ও তার জেরে মর্মান্তিক পরিণতি মোটেও অপরিচিত বিষয় নয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় এই ধরনের খবর প্রায়ই শিরোনামে আসে। কিন্তু তার পরও সড়কপথে যান চলাচল নিয়ে কতটা সক্রিয় হয় প্রশাসন? কতটা নজরদারি চালাতে পারে তারা? আমজনতারই বা কতটা টনক নড়ে?
বেহালায় দুর্ঘটনা...
গত অগাস্টের ভোরে, এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল মহানগরের বেহালা এলাকা। সে দিন মাটিবোঝাই লরির ধাক্কায় প্রাণ যায় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাইমারি সেকশনের পড়ুয়ার। নাম সৌরনীল সরকার (৭)। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার বাবা সরোজকুমার সরকারকে। পরে তাঁকে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারের নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ অবস্থা তৈরি হয় বেহালায়। মৃতদেহ আটকে রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তেজিত জনতা সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশ-ব়্যাফ। এর কয়েকদিনের মধ্যেই একটি পুলকার দুর্ঘটনা ঘটে নিউটাউনে। মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে যায় পুলকার, প্রাথমিক ভাবে এমনই জানা গিয়েছিল। পাঁচজন ছাত্র নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল গাড়িটি। বালিগুড়ির কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। চালককে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মেলে, নিউটাউন থেকে পাঁচ জন ছাত্রকে নিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে যাচ্ছিল পুলকার (pool car) । কারিগরি ভবন ক্রস করার পর চালকের ফোন আসে। সেই ফোন ধরতে গিয়েই বিপত্তি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:ফের উড়ল লাল নিশান, সমবায় সমিতিতে অক্ষত রইল বাম দুর্গ