ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের লাগানো ফলক সরানোর দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার নির্দেশে শান্তিনিকেতনে লাগাতার আন্দোলন করছে তৃণমূল। এবার ফলক সরানোর দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামল বাম ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এবং ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশ। তাঁদের পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতনের ক্লাব মোড়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি একটি প্রতিকী ফলক লাগানো হয়।
বিশ্বভারতীতে বিতর্কিত ফলক সরানোর দাবিতে এবার বামেরাও
এদিকে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের বাইরে কবিগুরু মার্কেটের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে তৃণমূল। গতকাল এই আন্দোলন ১০ দিনে পড়ে। দুই সংগঠনের নেতৃত্ব জানিয়েছে, শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্মান পেয়েছে। কিন্তু ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম নেই। বিজেপির তাবেদারি করছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে দিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে। এর প্রতিবাদে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এবং ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন পক্ষে থেকে শান্তিনিকেতনের ক্লাব মোড়ে প্রতীকি ফলক লাগানো হল।প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্মান পাওয়ার পর বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের লাগানো ফলককে ঘিরে চুরান্ত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ ফলকে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই। আচার্য নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে।
বিশ্বভারতীর ফলকে নেই কবিগুরুর নাম
বিশ্বভারতীর ফলকে নেই কবিগুরুর নাম, তা নিয়ে অব্য়াহত তরজা প্রতিবাদে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 'বিশ্বের হেরিটেজ শান্তিনিতেকন গড়ে তুলেছিলেন কবিগুরু। কিন্তু বিশ্বভারতীর ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম নেই, অথচ উপাচার্যের নাম রয়েছে!' অবিলম্বে ফলক সরিয়ে ফেলা উচিত কেন্দ্রের, এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tegore) নাম। আর এনিয়ে এর আগেও কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। ফলক পরিবর্তন না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন, অখিল গিরিকে বহিষ্কারের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে আবেদন শুভেন্দুর
'ডেডলাইন' বেঁধে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঙালির প্রাণের কবি, বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই নাম নেই এই ফলকে। আছেন কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আর এবার এই নিয়ে, কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। ফলকে রবিঠাকুরের নাম লিখতে 'ডেডলাইন' বেঁধে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারির পর, শান্তিনিকেতনের কবিগুরু মার্কেটের সামনে মঞ্চ তৈরি করে ধর্নায়ও বসে তৃণমূল।