গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও আবির ইসলাম, শান্তিনিকেতন: করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati)। চালু হল নির্দিষ্ট কয়েকটি পাঠ্যক্রমের ক্লাস। কোভিড (Covid19) বিধি মেনেই পাঠ নিতে হল পড়ুয়াদের। তবে হস্টেল বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের অনেককে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) প্রোক্টরকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 


বিশ্বভারতীর দরজা খুলল পড়ুয়াদের জন্য। দেড় বছর পর শুরু হল পঠনপাঠন। রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে গত ১৬ নভেম্বর। সে সময় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) খোলেনি।  বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তখন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে পয়লা ডিসেম্বর। সেইমতো বুধবার পঠনপাঠনের জন্য খুলল বিশ্বভারতী। 


বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর,  তবে শুধু স্নাতক (Under Graduate) ও স্নাতকোত্তরের (Post Graduate) শেষ সিমেস্টার এবং এমফিল-এর (M Phil) পড়ুয়াদের ক্লাস হবে।  এঁদের মধ্যে যে পড়ুয়ারা করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নিয়েছেন, তাঁরাই ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। ক্লাসে এক বেঞ্চে ২ জন বসতে পারবেন। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। 


দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরেছে পড়ুয়াদের কলরব। খুশি আশ্রমিকরাও। শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক  অপর্ণা দাস মহাপাত্রের কথায়, “দীর্ঘিদন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ। শান্তিনিকেতনের সেই পরিবেশ হারিয়ে গিয়েছিল। আবার সেই পরিবেশ ফিরে এল।’’ তবে বিশ্বভারতী খুললেও, হস্টেল (Hostel) না খোলায় অসুবিধেয় পড়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। এপ্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর স্নাতকোত্তরে ভূগোলের ছাত্র প্রবীর মণ্ডল বলেন, “হস্টেল খোলেনি, বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশ্বভারতীর প্রোক্টর শঙ্কর মজুমদারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।’’ 


এদিকে করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস কলেজের (Gokhale Memorial Girls College) এক ছাত্রী। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর যার জেরে আরও একাধিক ছাত্রীর কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর যে খবর সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে বাধ্য হয়ে একাধিক বিভাগের ছাত্রীকে কলেজে আসতে মানা করা হয়েছে। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আপাতত আগামী এক সপ্তাহ বেশ কয়েকটি বিভাগের ক্লাস বন্ধ থাকবে। তারপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।