আবীর ইসলাম, বীরভূম: ১৫ দিন পার। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ে (Visva Bharati University) অব্যাহত পড়ুয়াদের বিক্ষোভ (Student Protest)। এরই মধ্য শুরু হয়েছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সিমেস্টার । পরীক্ষায় (Examination) অনুপস্থিত থাকলে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। এবার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর সমালোচনায় সরব হয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, উপাচার্য এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।


পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে কড়া অবস্থান নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভের কারণে কোনও পরীক্ষায় কোনও পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। এই মর্মে এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল তারা। ১৫ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও অচলাবস্থা কাটছে না বিশ্বভারতীতে। এরইমধ্যে, ১১ মার্চ থেকে বিভিন্ন বিভাগে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। পড়ুয়াদের একাংশ যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, পরীক্ষা থেকে বিরত রয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের জন্য পরীক্ষার্থীরা কোনও পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে, সেই বিষয়ে তাঁকে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। পরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আর মিলবে না। তবে অন্য কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে, সেক্ষেত্রে আগের নিয়মেই পরীক্ষা দেওয়া যাবে। 


বিশ্বভারতী বিক্ষোভকারী পড়ুয়া প্রীতম দাস বলেছেন,  উপাচার্য এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে না। যদি এই রকম করে সুইসাইড করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এরইমধ্যে আন্দোলনের ১৫ দিনের মাথায় সোমবার খুলেছে সেন্ট্রাল অফিস ও সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। যদিও কর্মীরা ঢুকে যাওয়ার পরই বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় ফের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। 


এদিনও ৩ দফা দাবিতে বিভিন্ন ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিশ্বভারতীর  বিক্ষোভকারী এক পড়ুয়া মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়ারা আমাদের পাশে থাকতে ক্লাস ছেড়ে আসবে। 


বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, আজ ভবনে এসেছিলাম ঢুকতে পারছি না। হোস্টেল খোলা নিয়ে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। 
পরীক্ষা নিয়ে কড়া বিজ্ঞপ্তির পর কি আন্দোলন থেকে পিছু হঠবেন পড়ুয়ারা? না কি সংঘাতের ঝাঁঝ আরও তীব্র হয়, সেটাই দেখার।