আবির ইসলাম, বোলপুর: রাজ্য সরকার ও পুলিশ সাহায্য করতে না চাওয়ায় এবার ঘরোয়াভাবে হবে বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav)। বিশ্বভারতীর (Vishwabharati University) উপাচার্য ভাইরাল হওয়া বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেধেছে। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। বীরভূমের (Birbhum) পুলিশ সুপারের দাবি, তাদের সঙ্গে কথাই বলেননি উপাচার্য। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা, মত আশ্রমিকদের একাংশের।


করোনা-পরিস্থিতিতে, গত দু’বছর শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ঘরোয়াভাবে হয়েছে বসন্ত উৎসব। এবছর বসন্ত উৎসবের দিন ঠিক না হলেও, দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা গেছে, রাজ্য সরকার ও পুলিশ সাহায্য না করায় ঘরোয়াভাবে হবে অনুষ্ঠান। ভিডিও অনুযায়ী, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, “এবার আমরা হোলির দিন বসন্ত উৎসবের আয়োজন করছি না। হোলির দিন উৎসবের আয়োজন করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ আমাদের সাহায্য করতে চাইছে না। তাই আমরা রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করব না।‘’


বীরভূমের পুলিশ সুপার অবশ্য পাল্টা জানিয়েছেন, বসন্ত উৎসবের সময় পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করে। তাঁর দাবি, এবছর উপাচার্য যোগাযোগই  করেননি। যোগাযোগ না করলে পুলিশ কীভাবে সাহায্য করবে? কয়েক মাস আগে হয়নি পৌষ মেলা। এবার বসন্ত উৎসব নিয়ে উপাচার্যর ভাইরাল বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আশ্রমিকদের একাংশ। হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।   বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এতদিনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়। মানুষকে এভাবে হতাশ করার অর্থ দেখতে পাই না।‘’ বোলপুরের এক হোটেল মালিক রাজেশ শর্মার কথায়, “সবাই বলছে দোল হলে সবাই আসত। দোল হচ্ছে না বলে সব বাতিল হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা খারাপ।‘’ হস্টেল খোলা-সহ ৩ দফা দাবিতে ১৩ দিন ধরে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বিশ্বভারতীতে চলছে  অচলাবস্থা। এই প্রেক্ষাপটে বসন্ত উৎসব ঘিরে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল।


আরও পডুন: Calcutta Medical College: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বন্ধ রেডিওলজিক্যাল ইন্টারভেনশনাল ক্যাথ ল্যাব, সমস্যায় রোগীরা