শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দিনহাটার গোসানিমারিতে তৃণমূল কংগ্রেসকর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পরিবারের। ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
দল বদলের জন্য চাপের কাছে নতি শিকার না করাই কি কাল হল! তাই কি জীবন দিয়ে গুনতে হল মাশুল? কোচবিহারের দিনহাটার গোসানিমারিতে তৃণমূল কংগ্রেসকর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলকর্মী খুন, অভিযুক্ত বিজেপি। মৃতের নাম বাবলু বৈশ্য (৩৪)। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে বাবলুকে ডেকে নিয়ে যান মনোজ দে সরকার নামে স্থানীয় এক বিজেপি সমর্থক।
পরে তিনিই বাবলুকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যান গোসানিমারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের অভিযোগ, ডেকে নিয়ে গিয়ে বাবলুকে খুন করেছে বিজেপি।মৃত তৃণমূলকর্মীর প্রতিবেশী বলেন,ব্যাঙ্কে যাওয়ার কথা ছিল,বলল ৫ মিনিটে আসছি। এল না। পরে শুনি মারা গেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি সমর্থক মনোজ দে সরকার সহ ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী। ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
কোচবিহার উত্তর জেলা সভাপতি ও বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, যে মেরেছে সে তৃণমূল যে মরেছে সেও তৃণমূল। বিজেপি নাম খারাপ করার জন্য অভিযোগ করা হচ্ছে। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাবলুকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। দলবদল না করার জেরেই এই খুন। পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলতি মাসেই লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে চড়েছিল রাজনৈতিক পারদ। মুর্শিদাবাদে শ্যুটআউটে খুন তৃণমূল কর্মী । বহরমপুরে তৃণমূল কর্মী সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুনের ঘটনার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলেকায়। বাইকে চেপে এসে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালানো হয়। বাড়ির কাছেই গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। খুনের কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা । অধরা দুষ্কৃতীরা।নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের একতলায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি করে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে সেখান থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা।