সুজিত মণ্ডল, নদীয়া: মুখ্যমন্ত্রীর নদীয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের আগে শান্তিপুর বিডিও অফিসের (BJP Agitation In Front Of Shantipur BDO Office) গেটে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। বন্ধ বিধবা ভাতা থেকে বকেয়া ব্রিজের কাজ ইত্যাদি নানা অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় তারা।


বিক্ষোভ সম্পর্কে...
মুখ্যমন্ত্রী আসার প্রাক্কালে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরা বিডিও অফিসের গেটে বসলেন অবস্থান-বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য বিধবা ভাতা বন্ধের অভিযোগ তুলে এই বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এটি নিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁদের আরও বক্তব্য, ২০১৬ সাল থেকে কালনা-নৃসিংহপুর ব্রিজ দেখিয়ে পঞ্চায়েত পুরসভা থেকে শুরু করে বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখে ১৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করলেও এখনও কোনও কাজ হয়নি।  বিজেপির একমাত্র সাংসদ, বিধায়ক ও শান্তিপুর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির জয়ীরা প্রশাসনিক মিটিং-র ডাক পর্যন্ত পাননি, অভিযোগ করেন কর্মীরা। সব মিলিয়েই সোমবার শান্তিপুর বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনাচক্রে, এদিন ব্যারাকপুরেও সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সিপি অফিস অভিযানে তুলকালাম বাধে।


ধুন্ধুমার ব্যারাকপুরে...
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে সোমবার বিজেপির ওই মিছিল ব্যারিকেড পেরিয়ে ঢুকে যায়। বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা জলকামান, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। বিটি রোডে যান চলাচল স্তব্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। ব্যারাকপুরের বিটি রোডে, পুলিশ কমিশনারের দফতরের সামনে লম্বা বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছিল। সেই ব্যারিকেড টপকে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। মিছিলে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যে দড়ি দিয়ে বাঁশের ব্যারিকেড বাধা হয়েছিল, সেই দড়ি খোলারও চেষ্টা করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার মাইকে বলা হয়, মিছিলকারীরা যেন আইন না ভাঙেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির 'অবনতি'-রপ্রতিবাদে বিজেপির মিছিল ঘিরে একরকম ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওঠে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ। পাল্টা জলকামান ও লাঠিচার্জও হয়েছে বলে খবর। এদিন ব্য়ারাকপুরের লালকুঠি থেকে ঘোষপাড়া রোড ধরে মিছিল যখন চিড়িয়ামোড়-বিটি রোডের সংযোগস্থলে সে পৌঁছয়, তখনই তুলকালাম শুরু হয়ে যায়।  সকাল থেকে পুলিশের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, যাতে বিজেপির মিছিল ব্যারিকেড না ভাঙতে পারে। কিন্তু সেই মিছিল ঘিরে যে ভাবে এলাকা তপ্ত হয়ে উঠবে, তা বোধহয় কল্পনাও করা যায়নি। পরে বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে অভিযোগ করা হয়, পুরুষ পুলিশ আধিকারিকরা তাদের উপর 'অত্যাচার' করেছেন।  


আরও পড়ুন:কখনও অধ্যক্ষকে নিগ্রহ, কখনও উপাচার্যকে হেনস্থা, বাংলার শিক্ষাঙ্গনে তাণ্ডবের নজির