কলকাতা: অর্জুন সিংহর (Arjun Singh) দলত্যাগের পর বিজেপি (BJP) নেতাদের আত্মসমীক্ষার পরামর্শ দিলেন অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। তিনি ট্যুইটে লেখেন, কেউ দল ছাড়লেই এতে কোনও ক্ষতি হবে না বা গুরুত্ব দিতে নারাজ বলে নিজেদের সান্ত্বনা না দিয়ে ক্ষতি যে কিছুটা হয়ে গেল, সেটা মানতে শেখা দরকার। কেন বারবার দল ছেড়ে যাচ্ছে, সেটা বিশ্লেষণ করা দরকার বলে জানান তিনি।
গতকাল অর্জুন সিংহর ফুলবদল-জল্পনার মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট করেন অনুপম হাজরার। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক লিখেছেন, আগে পাণ্ডবদের মধ্যে একজন গণ্য করা হত। কিন্তু কৌরবদের মধ্যেও তাঁকে পাওয়া গেলে কতটা অবাক হব বুঝতে পারছি না। এমনই ফেসবুক পোস্ট করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো অর্জুন সিং। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে গতকালইই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে, পদ্ম ছেড়ে ফের জোড়াফুলে ফেরেন বিজেপি সাংসদ। বিকেল ৪টে নাগাদ তৃণমূলে যোগ দেন অর্জুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের যোগদান অনুষ্ঠান হয়। তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার নেতাদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক করেন।
তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হয়েছে অর্জুন সিংহর। শনিবার একটি শায়েরি ট্যুইট করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। লেখেন, শুনা হ্যায় আজ সমন্দর কো খুদ পে গুমান আয়া হ্যায়। উধর হি লে চলো কসতি, যাঁহা তুফান আয়া হ্যায়। যার অর্থ- শুনেছি, সমুদ্র আজ নিজেকে নিয়ে গর্বিত। যেখানে ঝড় উঠেছে সেখানেই নিয়ে চলো নৌকা। রবিবাসরীয় বিকেলে ব্যারাকপুরের সাংসদের সেই নৌকায় ভিড়েছে তৃণমূলের ঘাটে। দল বদলের পর অর্জুন সিংহ বলেন, যে ঘরের ছেলে ছিলাম, সেই ঘরে ফিরে এসেছি। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রশাসনিক চাপ এবং অত্যাচার সেটা উনি সহ্য করতে পারছেন না, তাই নতিস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, সাংসদ পদে পদত্যাগের প্রশ্নে নাম না করে অধিকারী পরিবারের দুই সদস্যকে নিশানা করেন তিনি। পাল্টা, জবাব দিয়েছে বিজেপি। অর্জুনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কটাক্ষ করেছে বাম-কংগ্রেস।