শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধে সাতসকালে কোচবিহার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের সামনে বাস রোকো । বাস রুখলেন বিজেপির দুই বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং নিখিল রঞ্জন দে। বাসের সামনে বসে পড়েন ২ বিধায়ক, পরে তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। কোচবিহারের এন বি এস টি সি নিউ বাস স্ট্যান্ড থেকে আটক বিজেপি কর্মীরাও।


কী ঘটনা ?


এদিন সকাল থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাস থেকে সরকারি বাস চলছে। জানানো হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের যে বাসগুলি রয়েছে সেগুলি অন্যান্য দিন যতটা নামে, আজ তার থেকে বেশি নামবে। সেইমতো বাস চলছে। আজ সকালেই দুই বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং নিখিল রঞ্জন দে এই বাস টার্মিনাসের সামনে আসেন। বাস আটকানোর চেষ্টা করেন। বাসের সামনে তাঁরা বসে পড়েন। পরে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। দুই বিধায়ককে পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছে।


পাশাপাশি নিউ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিধায়ক মিহির গোস্বামীর নেতৃত্বে সরকারি বাস আটকানো হয়। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক এবং বিজেপি কর্মীরা। পরে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে সেখান থেকে পুলিশ আটক করেছে। সকাল থেকে কোচবিহারে বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়নি। সরকারি বাস পরিষেবা চালু রয়েছে। কিছু কিছু রাস্তায় টোটো এবং ছোট গাড়ি বিক্ষিপ্তভাবে থাকলেও, অন্যান্য দিন যে পরিস্থিতি থাকে তার থেকে এদিন কোচবিহার শহর ও তার সংগ্ন এলাকায় অনেকটাই আলাদা পরিস্থিতি রয়েছে। 


গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। এরপর আজ বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে। সকাল ৬টা থেকে বনধ শুরু হয়েছে। অত্যাচারের প্রতিবাদে সফল করুন বনধ, আহ্বান জানাচ্ছে বিজেপি। যদিও 'কোনও বন্‍ধ হবে না, খোলা থাকবে সব কিছু', বলে গতকালই বিজেপির ডাকা বনধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাও দাবি করেছেন। 'গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। ভোট দিয়ে মানুষ পছন্দের সরকার পছন্দ করুক', মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব রাজ্যপাল


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।