শিবাশিস মৌলিক, আশাবুল হোসেন কলকাতা : বিজয়া পালনেও লাগল রাজনীতির রং ! বৃহস্পতিবার বিজয়া উপলক্ষ্যে, বিজেপির রাজ্য দফতরে বিলি করা হল চপ-মুড়ি-ঘুগনি। সঙ্গে ছিল চা এবং মোমো।
একাদশীর দিন, বিজেপির রাজ্য দফতরে যাঁরা আসেন, তাঁদের হাতে এই সব খাবার তুলে দেওয়া হয় ! কিন্তু, হঠাৎ চপ, মুড়ি, ঘুগনি কেন? রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি, এটা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ।
মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগে এক সভায় মন্তব্য করেন, ' আমি বলছি, আপনি এক হাজার টাকা নিন, তা দিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট রাখুন। আস্তে আস্তে ব্যবসা বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আরেকটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে, দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। কেউ যদি ব্যঙ্গ করে বলে তুই এটা করছিস? বলবেন এভাবেই আমি কোটিপতি হব।'
কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা চলছেই। শনিবার এই ইস্যুতে বিভিন্ন জেলায় পথে নামে বিরোধীরা। কোথাও বিলি করা হয় ঝালমুড়ি, ঘুগনি। কোথাও বিলি করা হয় চপ। এই নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। প্রতিবাদে কোথাও চপের দোকান খুলে বসলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা। আবার রাস্তায় উনুন জ্বালিয়ে বেগুনি ভেজে প্রতিবাদ করে RSP। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিধানসভার গেটে অভিনব বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি বিধায়করা।
বিজেপি কর্মী নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ' আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে এটা করছি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাইপো-বাইঝিদের এটা বলতে পারবেন তো?'
জবাব তৃণমূলের
বিজেপির আক্রমণের জবাব তৃণমূলের । তৃণমূল-বিজেপি দু’দলকেই কটাক্ষ করে সিপিএম। বাম নেতা রবীন দেব বলেন. ' মুখ্যমন্ত্রী ন্যক্কারজনক ভাবে একথা বলেছেন, আর বিজেপির বিদ্রুপ করছে না? দু’দলই রাজনীতি করছে। দেখতে হবে রাজনীতি করতে গিয়ে কেউ কাউকে বিদ্রুপ না করে ফেলে। '
সম্প্রতি, ঝালমুড়ি-ঘুগনি বিক্রি করে বিধানসভার গেটে অভিনব বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এবার তাদের বিজয়া পালনেও জায়গা করে নিল সেই মুড়ি, ঘুগনি।