রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির (BJP) জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা কমিটিতে বিদ্রোহের আঁচ। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উঠল জেলা সভাপতিকে (District President) সরানোর দাবি। আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে গতকাল কর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি-সহ একাধিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই দলের জেলা সভাপতিকে অচল পয়সা বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি। সূত্রের খবর, অনেকেই বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতিকে সমর্থনও করেন। তাঁরাও সোচ্চার হয়ে ওঠেন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। অনেকেই না কি সন্তুষ্ট নন জেলা সভাপতির কার্যকলাপে। এদিকে, জেলায় বিজেপিকে নির্মূল করবেন জেলা সভাপতিই, অভিযোগ করেন ধূপগুড়ি ব্লকের এক প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। 


তৃণমূলের কটাক্ষ


পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির অন্দরের ফাটল প্রকাশ্যে আসায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, এভাবেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিরোধীরা। দলীয় নেতাদের বিরূপ মন্তব্য নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। যদিও জলপাইগুড়িতেও বিজেপিতে ভাঙন কি আসন্ন, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে।


গত বিধানসভা ভোটের পরই বিজেপি থেকে একে একে সবাই তৃণমূলে ফিরে আসতে থাকেন। যাঁরা শাসক দলের ছিলেন, কিন্তু ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁদেরও মোহভঙ্গ হয়। তাঁরাও ফিরে আসেন ফের তণমূলে।


কিছুদিন আগেই বিজেপিতে ভাঙন দেখা গিয়েছিল বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে। ফের প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ৬ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আরও একটি পঞ্চায়েত দখল করেছিল রাজ্যের শাসক দল। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। 


বছর ঘুরলেই রাজ্যে (West Bengal) পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। তার আগে লালমাটির জেলায় ফের গেরুয়া ঘরে ভাঙন ধরিয়ে আরও একটি পঞ্চায়েত দখল করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC)। বীরভূমের মহম্মদবাজারের গণপুর পঞ্চায়েত। ২০১৮-র ভোটে ৭টি-র মধ্যে ৬টি আসনে জিতে এই পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি (BJP)।