জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়িতে (Dhupguri By Election) পরাজয়ের পর উত্তরবঙ্গে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব (BJP Inner Clash) প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত, লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল ক্ষুরধার স্লোগান নিয়ে ময়দানে নেমেছে। তার মধ্যে অন্যতম যে বিষয়গুলি, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে প্রতিবাদ হোক, কিংবা পাল্টা নিয়োগ দুর্নীতিই ইস্যুই উঠে আসুক, মোটের উপর স্লোগান বাণ নিয়ে বাইশ গজে ইয়োর্কার ছুঁড়ছে শাসকদল ও বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বিজেপির তরফে স্লোগানের মধ্যে যেগুলি অন্যতম, 'পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর।' পাশাপাশি 'চোর ধরো, জেলে ভরো।' তবে যে তৃণমূলকে তোপ দাগার জন্য গেরুয়াশিবিরে ঘাম ঝরিয়ে স্লোগানে শান দিচ্ছে, সেখানে নয়া মুখের মিশেল। কখন কখনও শাসকদল ছেড়ে আসা 'দলবদলুদের' মুখেও শোনা যাচ্ছে সেই স্লোগান। অর্থাৎ দল বদলে ছেড়ে আসা দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন অনেকেই।
তবে এনিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি তৃণমূল। এনিয়ে কম সংঘাত হয়নি দুই দলেরই অন্দরে। অর্থাৎ যারা দলের 'আদি' বলে দাবি করেন, তাঁদের একাংশ বরাবরই বিরোধীতা করেছেন। একুশের আগে ও পরে। তবে এবার সদ্য ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরেও সবুজ ঝড়ে উসকে গিয়েছে সেই স্লোগান। একধাপ এগিয়ে এবার শব্দবাণ দাগলেন জেলা বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক অজয় সাহা।
'তৃণমূল থেকে অসৎ ব্যক্তিদের নিয়ে দল ভরানো হচ্ছে। তার পরিণামে এই ফল, মন্তব্য জেলা বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক অজয় সাহার। 'চোর ধরো জেল ভরো পরিণত হয়েছে চোর ধরো, ঘর ভরোতে', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্তর। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা বিজেপি সভাপতি।
আরও পড়ুন, রানিনগরকাণ্ডে ধৃত কংগ্রেস নেতা-সহ ৩৬, অধীর বললেন, 'তৃণমূলের মদতেই অশান্তি..'
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেও উঠেছিল সবুজ ঝড়। আর ঝড়ের পর সতর্ক হয়েও ফল ভালো আসেনি রাজ্যের একাধিক বিধানসভা উপনির্বাচনে। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটেও মেলেনি আশানুরূপ রেজাল্ট। যার জেরে দিল্লি থেকে বারবার বঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রের শীর্ষ নের্তৃত্ব। একাধিক বৈঠক হয়েছে। এবং এই প্রতিটি ভোটই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচনের আগে। তবে পট বদলায়নি। সাগরদিঘির মতো দু-একটা ব্যতিক্রম থাকলেও, সেখানেও মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে শাসকদল। এমনকি রং বদলেছে বহু বিতর্কিত ঝালদাতেও। বাকি ছিল ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। সেটা হাতছাড়ার পর বিজেপি নেতাদের একাংশের ক্ষোভের আগুন এল প্রকাশ্যে।