কলকাতা: রামপুরহাটে (Rampurhat Case) প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জেপি নাড্ডা (JP Nadda) মনোনীত ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে ৪ প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। কমিটিতে আছেন বিজেপি সাংসদ তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রজলাল। বিজেপি সাংসদ তথা মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যপাল সিংহ। বিজেপি সাংসদ কে সি রামমূর্তি তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন পুলিশকর্তা। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।
রিপোর্ট তলব: রামপুরহাটকাণ্ডে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এদিন সংসদে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। বৈঠক শেষে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, রামপুরহাটের এই ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, দাবি সুকান্ত মজুমদারের। অন্যদিকে, কাল রামপুরহাট যাচ্ছে বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদলও। সংসদে রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব অধীর চৌধুরী।
রাজনৈতিক চাপানউতোর: অগ্নিগর্ভ রামপুরহাটের বকটুই গ্রাম। তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পর এলাকায় তাণ্ডব। বাড়িতে আগুন। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে শিশু-মহিলার মৃত্যু। ভয়ঙ্কর এই হত্যালীলা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। কেন এভাবে নিরীহ মহিলা-শিশুদের জ্বালিয়ে দেওয়া হল? এই গণহত্যা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।
রামপুরহাটকাণ্ডের আঁচ পৌঁছেছে লোকসভাতেও। লোকসভায় বিষয়টি তোলেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের আঁচ এসে পড়ে বিধানসভাতেও। প্রশ্নোত্তরপর্ব শেষ হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিধানসভার ভিতরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির বিধায়করা। পরে, ওয়াক আউট করেন তাঁরা। রামপরহাটের ঘটনায়, বিধানসভায় বিবৃতি দেন পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপি বিধায়করা। হত্যাকাণ্ডের জন্য তৃণমূলকে দুষছে সিপিএম। তৃণমূলের সমালোচনায় সরব কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: “ধামাচাপা দিতেই SIT,’’ রামপুরহাটকাণ্ডে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি অধীরের