কলকাতা: ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা হোক। রামপুরহাটকাণ্ডে এই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এদিন তিনি বলেন, “৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা উচিত কেন্দ্রের। এই দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হব। সিট তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য।’’ 


বীরভূমে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা, গণহত্যা, নরসংহার, উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। নানুর, ছোট আঙারিয়ার পর এবার রামপুরহাট। তৃণমূল উপ প্রধান খুনের পর রামপুরহাটে হত্যালীলা, ৮জনের মৃত্যু। রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন, আহত আরও ৩ । রামপুরহাটে ২ শিশু, ৬ মহিলা-সহ আগুনে পুড়ে ৮জনের। মৃত্যু রামপুরহাটের ঘটনায় NIA ও CBI’কে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা, বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি


রামপুরহাটের (Rampurhat) গণহত্যা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি (Politics)। কিন্তু, পরপর বাড়িতে আগুন লাগাল কে? তা নিয়ে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই, টিভিতে বিস্ফোরণের তত্ত্ব খাড়া করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও, বিরোধীরা এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে খুনের বদলা নিতেই কি রামপুরহাটে (Rampurhat) আটজনকে পুড়িয়ে খুন করা হল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুরুতে গ্রাম্য বিবাদের তত্ত্ব খাড়া করলেও, পরে তৃণমূল (TMC) নেতারা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হন। বিরোধীরা অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।


রিপোর্ট তলব: রামপুরহাটকাণ্ডে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এদিন সংসদে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। বৈঠক শেষে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, রামপুরহাটের এই ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, দাবি সুকান্ত মজুমদারের।


আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: 'অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা’ রামপুরহাট প্রসঙ্গে সরব ফিরহাদ