কলকাতা: দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) থেকে আগেই দূরত্ব বাড়িয়েছে দল। কিন্তু কালী-বিতর্কের আঁচ টের পাচ্ছে তৃণমূল TMC)। এ বার সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সেই নিয়ে নিশানা করলেন বিজেপি-র (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য় (Amit Malviya)। মহুয়াকে দল থেকে বহিষ্কার না করে, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে মমতা কৌশলী নীরবতা পালন করছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
সরাসরি মমতাকে নিশানা মালব্যর
ইতিমধ্যেই মহুয়ার বিরুদ্ধে হিন্দি বলয়ের একাধিক রাজ্যে ৫০-এর বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বও তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে মমতাকে নিশানা করেন মালব্য। তিনি লেখেন, "পরিকল্পনা মাফিকই মহুয়া মৈত্রর জঘন্য মন্তব্য়ে কৌশলী নীরবতা পালন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তা যদি না হতো, তাহলে তৃণমূল সাংসদকে এতক্ষণে দল থেকে বহিষ্কার করা হতো। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলার পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতে বলতেন। এভাবে ওঁকে আড়াল করে মমতা আসলে বাঙালি ভাবাবেগ পদদলিত করছেন। "
এ দিকে, কালী (Goddess Kali Remarks) নিয়ে মহুয়ার মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বউবাজার থানায় ডেপুটেশন জমা দেবেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরা। নেতৃত্বে রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। মহুয়ার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন:
Mamata Banerjee’s eloquent silence and inaction on Mahua Moitra’s obnoxious comment on Maa Kaali is a tacit endorsement. If not, she should have suspended the TMC MP and allowed WB police to act. By protecting her, she is trampling on the religious sentiments of Hindu Bengalis…
— Amit Malviya (@amitmalviya) July 7, 2022
" title="Mahua Moitra: "তান্ত্রিকতায় এগুলো হয়, দক্ষিণেশ্বরে হয় না", মহুয়ার কালী বিতর্কে নানা মত বিদ্বজ্জনদের" >Mahua Moitra: "তান্ত্রিকতায় এগুলো হয়, দক্ষিণেশ্বরে হয় না", মহুয়ার কালী বিতর্কে নানা মত বিদ্বজ্জনদের
মা কালীকে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বুধবার সকাল থেকেই পথে নামে বিজেপি। বিভিন্ন থানায় অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে তারা। তার মধ্যে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শয়ে শয়ে এফআইআর শুরু হয়েছে। এই এফআইআরগুলি কার্যকর করতে হবে। আর কার্যকর যদি না হয়, আমি দশদিন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সময় দিলাম। এগারো দিনের দিন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নিয়ে মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতে যাব। কারণ এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না। নূপুর শর্মার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা করছেন, তাঁর পুলিশ যা করছে, মহুয়া মৈত্রর ক্ষেত্রে তার থেকেও বেশি করা উচিত। কারণ তিনি যে কথা বলে, বাঙালি হিন্দুদের ধর্মীয় আস্থায় আঘাত হেনেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য।"
মহুয়ার সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছে তৃণমূল
তৃণমূল যদিও আগেই মহুয়ার মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়িয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "কোর্টে যাওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার ওঁর আছে। আমাদেরও ডিফাই করার অধিকার আছে। আমরা ডিফাই করব। রাজ্যে সরকার আছে। একটা সরকার চলছে। উনি আমাদের সাংসদ। সম্মানীয়া সাংসদ। এটা কে কী বললেন, না বললেন, এর ওপর নির্ভর করে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। আমরা মা কালীকে শ্রদ্ধা করি, মা কালীকে প্রণাম জানাই। এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত। ওঁর সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করব না।"