রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সাংগঠনিক রদবদলের পর, বিজেপি (BJP) বিধায়কদের (MLA) হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ ছাড়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এর মধ্যেই, পুরভোটের আগে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) ভাঙন ধরল বিজেপিতে। তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন বিজেপি সহ সভাপতি। 


বিজেপিতে গুরুত্ব মেলেনি, দলত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন বিজেপি-ত্যাগী ধর্তিমোহন রায়। জলপাইগুড়ির বিজেপিত্যাগী নেতা ধর্তিমোহন রায় বলেন, "বিজেপির জেলায় কোনো সংগঠনই নেই, গুরুত্ব পাইনি। বিধানসভা ভোটের আগেই বলেছিলাম, বিজেপিতে থাকব না। পুরসভা নির্বাচনে একটাও ওয়ার্ড পাবে না।"          


প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সাল থেকে তৃণমূলেই ছিলেন ধর্তিমোহন রায়। ২০১২ সালে তাঁকে District Primary School Council বা DPSC-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় দল। ২০১৭ পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি।                       


ধর্তিমোহনের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, আর বিজেপি করবেন না। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন তৃণমূলে। যদিও, বিজেপি বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। জলপাইগুড়ি বিজেপির সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী, "ভেবেছিলেন উনি বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হবেন, বিজেপিতে আসার পর তাকে জেলার সহ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। আজ মিথ্যে কথা বলছেন, উনি আখের গোছাতে এসেছিলেন, এখানে লুঠেরাদের জায়গা হয়না, কে গেল কে এল কোনো ব্যাপার নয়।"                     


অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, "আমাদের দলের সঙ্গেই ছিলেন, বিভিন্ন কারণে দল ছেড়েছিলেন, আবেদন জানান, সবার অনুমতি নিয়েই দলে নেওয়া হয়েছে। এখন তৃণমূল ছাড়া গতি নেই।"                  


বছর ঘুরলেই জেলার পুরসভাগুলিতে ভোট হওয়ার কথা। বিজেপিতে এই ভাঙনের প্রভাব কি পুরভোটে পড়বে? সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।