কলকাতা : সম্ভবত এপ্রিল মাসে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) হতে চলেছে। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে (State Election Commission)। এর পাশাপাশি বিরোধীরা বারেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানালেও, এবারের পঞ্চায়েত ভোটও সম্ভবত রাজ্য পুলিশ দিয়েই হতে চলেছে, এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে কমিশন-প্রশাসন সূত্রে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। "সিবিআই-ইডি সক্রিয় হলে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি করে (পঞ্চায়েত ভোট) নিতে পারে তত ভাল, সেই চেষ্টায় আছে।" এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি । 


প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্ভবত এপ্রিলে ভোট, জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। ২০২৩-এই ভোট হবে হাওড়া পুরসভায়। খসড়া তালিকা নিয়ে ডিএম-কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।


কী বলছেন দিলীপ ?


এনিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "এই সরকার দেড়-দু'বছর ধরে পুরসভাগুলিকে ঝুলিয়ে রেখে রেখে সুবিধামতো ভোট করল। সেরকমই একটা তালে ভোট করার চেষ্টা করছে। আমার ধারণা, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে মার্চে, তার আগে ফেব্রুয়ারিতেই ভোট করবে ওরা। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারণ, পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে সিবিআই-ইডি সক্রিয় হলে । তাই যত তাড়াতাড়ি করে নিতে পারে তত ভাল, সেই চেষ্টায় আছে। "


কিন্তু বিজেপির তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া একটা ভোটও নিরাপদে হওয়া সম্ভব নয়। অথচ কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কমিশন তো রাজ্য সরকার যা বলবে তাই করবে। তার বাইরে কোনও অস্তিত্ব নেই। মীরা পাণ্ডে যখন কমিশনার ছিলেন, তিনি লড়াই করে ভোট নিয়ে এসেছিলেন। তাও বিনা প্রতিযোগিতায় ভোট হয়েছিল কিছুটা। এবারও তা-ই হবে। যেভাবে গায়ের জোরে পৌরনির্বাচন করা হল, বিশেষ করে কলকাতার বুকে লুঠপাট করে জিতে নেওয়া হল সেভাবেই হবে। ৮০-৯০ শতাংশ ভোট একজন প্রার্থী পেয়ে যাচ্ছেন। একতরফা করার চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া তো জিততে পারবে না। যদি একতরফা ভোট না করায় রাজ্য পুলিশ ছাড়া, রিগিং না করে ভোট হয় তাহলে তৃণমূল কোনও ভোট জিততে পারবে না। সেই চেষ্টাই তারা করছে।" 


আরও পড়ুন ; মার্চ-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের