কলকাতা: প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মোটামুটি সব শিবিরেই।  তার মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে বড় খবর। সম্ভবত আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)। রাজ্য পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট, এমনই ইঙ্গিত কমিশন-প্রশাসন সূত্রে। সেই মতো বুধবার  ২০টি জেলার আসন বিন্যাস-আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি। ভোটগ্রহণ সম্ভবত মার্চ-এপ্রিল মাসে। 


মার্চ-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩


নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার ২০টি জেলার খসড়া তালিকা প্রকাশ পাচ্ছে। তা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও রকম সমস্যা থাকলে ২ নভেম্বর পর্যন্ত জেলাশাসক এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। তার পর নভেম্বরের শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে।


পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে কমিশন সূত্রে খবর। ডিসেম্বর মাসে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ সভাপতি, সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। 


আরও পড়ুন: TET 2014 : প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণদের দাবি মানল না পর্ষদ, আন্দোলনকারীদের দাবি অন্যায্য, বলল পর্ষদ


পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাশাপাশি, হাওড়া পৌরসভা নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। চলতি বছরেই হাওড়া পৌরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি। বরং সেখানকার ৫০টি ওয়ার্ডকে ৬৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করার কাজ চলছে। তাই এ বছর না হলেও, ২০২৩ সালেই হতে পারে হাওড়া পৌরসভার নির্বাচন।


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই সরকার পৌরসভাগুলিকে দেড়-দু'বছর ঝুলিয়ে রেখে সুবিধা মতো ভোট করাল। তেমন ভাবেই ভোট করানোর চেষ্টা চলছে। আমার ধারণা, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে মার্চে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারণ পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে সিবিআই, ইডি আরও সক্রিয় হলে।"


নিজেদের সুবিধা মতো ভোট করছে রাজ্য সরকার, অভিযোগ দিলীপের


কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়া উচিত নয় বলে এ যাবৎ দাবি করে আসছে বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ বলেন, "কমিশন তো রাজ্য সরকার যা বলবে, তাই করবে। এর বাইরে অস্তিত্ব নেই ওদের।  মীরা পান্ডে লড়াই করেছিলেন। তাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট হয়েছিল। কলকাতায় পৌরসভার ভোট জোর করে লুঠে নেওয়া হয়েছে। একতরফা ভোট করার চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া জিততে পারবে না তৃণমূল।"