পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal scam) এবার বিজেপি নেতা (BJP) জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (jitendra tiwari) তলব করল সিআইডি (CID)। আগামীকাল ভবানীভবনে (Bhawani Bhawan) হাজিরার নির্দেশ। কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় খনি এলাকায় কর্মরত ১০ জন পুলিশ আধিকারিককে। সিআইডি সূত্রে দাবি, কয়লাকাণ্ডে উঠে এসেছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ। 

কী বলল সিআইডি?
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আসানসোলে বিজেপির নেতা জিতেন্দ্রকে তলব করেছে সিআইডি। এর মধ্যে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের পাশাপাশি সিআইডি-ও কয়লাপাচার মামলার তদন্ত করছে। তদন্তের কাজে আসানসোল-রানিগঞ্জ-কুলটির মতো জায়গা সিআইডির আতসকাচের তলায়। বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। বেশ কয়েক জনকে এর মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়। এমনকী ওই এলাকাগুলির বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককেও ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, সেই জিজ্ঞাসাবাদের পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগামিকাল তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। জিতেন্দ্র অবশ্য় বিষয়টিকে এখনই খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, 'যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে যে কোনও কাউকে ডাকতে পারেন। নোটিসে দেখলাম ২০২০ সালের মামলা। এটা তো আসানসোল বা বাংলার যে কোনও ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেও বলে দেবে কী হচ্ছে। ২০২০ সালের মামলায় ২০২৩ সালে হঠাৎ আমাকে সাক্ষী হিসেবে কেন ডাকা হচ্ছে, এটা তো চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রও বলে দিতে পারবে।'  


প্রেক্ষাপট...
গত ২৬ অগাস্ট কয়লা পাচার মামলার তদন্তে ভবানী ভবনে ৩ পুলিশ আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। পুলিশ সূত্রে খবর, দীনেশ মণ্ডল, অজয় মণ্ডল ও সঞ্জয় চক্রবর্তী, এই তিন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসারকে তলব করা হয়েছিল। তার আগের দিনও ৩ পুলিশ আধিকারিককে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। এই মামলায় ১০ জন পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে তলব করা হয় সিআইডির তরফে, যাঁরা ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত খনি এলাকায় কর্মরত ছিলেন। তার আগে, অগাস্টের শুরুতে সঞ্জয় মালিক নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। হরিয়ানার একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে সঞ্জয় মালিককে কলকাতায়ও নিয়ে আসা হয়েছিল। একই মামলায় ধৃত বারিক বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার সঞ্জয় মালিককে ধরা হয় বলে সূত্রে খবর। 
এবার তলব বিজেপি নেতাকে। বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অবশ্য বক্তব্য, 'একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে চলছে।'  
আরও পড়ুন:হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত পাকিস্তানের বিতর্কিত আম্পায়ার আসাদ রউফ