কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: উপনির্বাচনে (Asansol By Election) ভরাডুবির পর রাজ্য সরকারের কাজের সুখ্যাতি করতে দেখা গেল তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপি-তে (BJP) গিয়ে ওঠা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। তাঁর দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর প্রভাব পড়েছে ভোটারদের মনে। তাতেই জনসমর্থন তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর নেটমাধ্যমে এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন জিতেন্দ্র। তাঁর এই মন্তব্য শোনার পর তৃণমূলের বক্তব্য, "শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে জিতেন্দ্রর।"
একের পর এক নেতার বিদ্রোহের মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট জিতেন্দ্রর
দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপিতে ছড়াচ্ছে বিদ্রোহের আগুন। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "তাঁর ব্যক্তিগত মতামত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের প্রভাব পড়েছে বাংলার ভোটারদের মনে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে এই সব প্রকল্পের সুবিধা, ভোটারদের মধ্যে ভাল প্রভাব ফেলেছে।"
গত বিধাসনভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে বিধানসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বরে হেরে যান তিনি। আসানসোল পুরভোটের পর, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া দেয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
এ বার উপনির্বাচনে আসানসোলে ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে, আসানসোল উপনির্বাচনে বিজেপির আহ্বায়কের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এমনকি ফোনে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেন, "আমি কথা বলে জানতে পেরেছি রাজ্যের প্রকল্পের যারা সুবিধাভোগী তাদের তালিকা নিয়ে তাদের বাড়ি গিয়ে বলা হয়েছে, যদি তৃণমূলকে ভোট না দাও সেই সুবিধা তারা পাবে না। সেই আতঙ্কে তারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে।"
জিতেন্দ্রর শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মত তৃণমূলের
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক বলেন, "প্রথম থেকে বলে আসছি আমাদের সরকার গরিবদের জন্য কাজ করছে। সাধারণ মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পেয়েছেন। ওঁর শুভবুদ্ধি হয়েছে, উনি মেনেছেন এটা।"
ভোটারদের মধ্যে রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে ট্যুইটের পাশাপাশি, আরও একটি ট্যুইটে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশ্য লেখেন, "এটাও ঠিক, গত বছর ভোট পরবর্তী হিংসায় সন্ত্রস্ত ভোটাররা, বিরোধীদের ভোট দিতে যেতে ভয় পেয়েছেন।"