কলকাতা: লালবাজার থেকে কয়েক ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন,' আমাদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র আরও একবার ভূলুণ্ঠিত হল রাস্তায়।'
আরও পড়ুন, "দেখে নেব", লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবেশীকে (চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়) গ্রেফতার করেছেন। যে ব্যক্তি তাঁর নিজের প্রতিবেশি হতে পারে না, সেকি জনগণের হতে পারে ? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই প্রশ্নটা করতে চাই, একজন সাংসদ যিনি তাঁর প্রতিবেশীর খবর রাখেন না, প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করান, এবং কী অজুহাতে..পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানাননি আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে ? এরপরই কটাক্ষ করে বলেন, পিসির আঁচলের তলায় থেকে হাডুডু খেলতে বলুন। সকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে বলুন। এবং সাপ্লিমেন্ট খেতে বলুন ওই দিয়ে ওনার চলবে। .. আমি ওই বাড়িতে যাব । অবশ্যই আদালতের দ্বারস্থ হব।'
অপরদিকে, এদিন লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেন, গ্রেফতারি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। দেখুন ২৫ বছর একটা সভ্য সুশিক্ষিত দেশে ছিলাম তো, আমার এরকম অভিজ্ঞতা হয়নি যে, আমার বাড়িতে কেউ দেখা করতে আসবে, তার সঙ্গে গিয়ে আমার দেখা করতে হবে পুলিশ কর্ডনের মাঝে ! আবার তিনি একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। তিনি একজন মন্ত্রী। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায়, মাঝখান থেকে চোর পকেটমারের মতো তুলে নিয়ে গেল ! আমি এখন হাসিমুখে থাকলেও প্যানিকড রয়েছি। আমি ভীষণ অসুস্থ বোধ করছিলাম। যেভাবে আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছে, কোন ভদ্র মানুষকে এভাবে নেয় না। শুনুন আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক। আমি টপমোস্ট লেভেলে ইংল্যান্ডে কাজ করে এসেছি। সেই খান থেকে এই হ্যারাসমেন্ট..' !' 'কেলগ কলেজে আমি তো প্রশ্ন করেছি।..আমার জামাটা সাদা বললে সাদা মেনে নিতে হবে ! এখানে সবাইকে লেজ নেড়ে বলতে হবে সাদা। সত্য কথা। আমি ওখানে প্রশ্ন করেছিলাম। উনি জবাব দিতে পারেননি।'চিকিৎসকের অভিযোগ সেই ঘটনারই পরই পাল্টা তাঁকে 'হ্যারাস' করা হচ্ছে।
হরিশ মুখার্জি রোডে ওই প্রতিবাদী চিকিৎসকের বাড়ি। এদিন মূলত ভবানীপুরে চিকিৎসকের বাড়িতে যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় চিকিৎসক বাড়িতে নেই, যাওয়া যাবে না, বলে এমনটাই দাবি করেন সুকান্ত। এদিকে বিজেপি ততক্ষণে স্পষ্ট দাবি জানায়, চিকিৎসক বাড়িতেই রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদারকে সব কিছু জানাবেন বলে এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। ভিডিও দিয়ে দাবি তোলে বিজেপি। অভিযোগ, এরপরেও সুকান্ত মজুমদারকে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলত দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েনের পর চিকিসকই হেঁটে আসেন সুকান্তর কাছে। মাঝরাস্তায় এরপর সাক্ষাৎ হতেই উত্তেজনা ছড়ায় ভবানীপুরে। গ্রেফতার করা হয় দুজনকেই।