শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : BJP-র পুজোর ভবিষ্যৎ কী? আগামী বছরও কি বঙ্গ বিজেপির তরফে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হবে? 
উমা-বিদায়ে বিষাদের আবহেই, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খোদ রাজ্য বিজেপির সভাপতি এত টাকা খরচ করে পুজোর পক্ষপাতী নন।


' বিশাল  খরচ' 
দিন কয়েক আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো স্পষ্টাস্পষ্টি বলে দেন, ‘ আগামী বছর থেকে বিজেপি আর পুজো করবে না। ’ তিনি আরও জানান, প্রতি বছর পুজো করতে  ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। এই বিশাল  খরচ জোগাড় করা খুব মুশকিল।


তবে বিজেপির কর্মীদের অনেকেরই  ইচ্ছে সামনের বছরও পুজো হোক। কারণ ইজেডসিসি-তে এবারও ধূমধামের কমতি ছিল না। বিসর্জনের দিনও অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির কর্মীরা ঢাক বাজিয়ে সিঁদুর খেলে বিজয়া উদযাপন করেন। 


এবার, তৃতীয় বছরে পড়ল সল্টলেকের EZCC’ত আয়োজিত বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো। একদিকে সাবেকিয়ানা, আরেকদিকে এরকম থিম। যুব মোর্চা কর্মীরা ঢাক বাজাচ্ছে। মহিলা মোর্চা ধুনুচি নাচ অংশ নিচ্ছেন। আবার উল্টোটাও হচ্ছে। এখানে তিনভাগে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। মূল মণ্ডপ ও প্রতিমা সম্পূর্ণ সাবেকি। দ্বিতীয়ভাগে রয়েছে দুর্গার ৯টি রূপ। আর তৃতীয়ভাগে দেখানো হয়েছে, কীভাবে, দেবীয় ১০ অস্ত্র দিয়ে, কীভাবে দুর্গতি নাশ করতে পারে বিজেপি। 


 ভবিষ্যৎ নিয়ে  সংশয়
২০২১’এর বিধানসভা ভোটের আগে, ২০২০ সালে, EZCC’তে দুর্গাপুজো শুরু করে বিজেপি। বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের সুপারিশেই এই পুজোর সূচনা। সেই পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন সংশয় তৈরি হয়েছে, তখন এনিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম। 


পুজোর আয়োজনে ভাটা
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'মানুষের সঙ্গে যোগ নেই, তাই বদ্ধ জায়গায় পুজো করতে হয়' । করোনাকালের শুরুতে ২১-এ ভোটে জনসংযোগকে পাখির চোখ করে পুজো শুরু করে বিজেপি। সে সময়  দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ফল আশানুরূপ হয়নি। ফলে পুজোর আয়োজনে ভাটা পড়ে। বহু দল বদলে আসা নেতা বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে যান। এর পর থেকেই পুজোর উৎসাহে ভাটা পড়ছে বলে ধারণা একাংশের। 


এবছর তাদের এই পুজো তৃতীয় বর্ষে পা দিল।  EZCC’তে ধুমধাম করে দুর্গাদুর্গাপুজো" data-type="interlinkingkeywords">পুজো করেছে বঙ্গ বিজেপি। কর্মী সমাগমও হয়েছে। সামনে ২৪ এর লোকসভা ভোট। তার আগেই কি পুজো বন্ধ করে দেবে বিজেপি নেতৃত্ব ? প্রশ্নটা উঠছেই।