শিবাশিস মৌলিক ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : লাগাতার হুমকি-হুঁশিয়ারির মধ্যে পড়তে হচ্ছে BLO বা বুথ লেভেল অফিসারদের। বুধবারও বিহারের প্রসঙ্গ টেনে BLO-দের হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'কোনও দাদা-দিদির কথা শুনবেন না। নইলে পরিণতি বিহারের মতো হবে।' এর আগে খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর মুখেও বিএলও-দের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেছিল।

Continues below advertisement

শুরু হয়ে গেছে SIR। গুরু দায়িত্ব বুথ লেভেল অফিসারদের ঘাড়ে। কিন্তু কখনও শাসক-কখনও বিরোধী। লাগাতার হুমকি দিচ্ছে তাদের। ইতিমধ্য়েই বিএলও-দের একাংশের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অভিযোগে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রেক্ষাপটে ফের বিহারের প্রসঙ্গ টেনে BLO-দের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। তিনি বলেন, "প্রত্যেকদিন রাজ্য থেকে, ৫০টা জায়গা থেকে পাচ্ছি। আপনি (BLO) ভাবছেন বিহারের পুলিশ নীতীশ কুমারের হাতে ছিল, তাই জেলে গিয়েছিল। এখানের পুলিশ বাধ্য হবে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আর পুলিশ যদি বাধ্য না হয়, একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা যেখানে গেলে, আপনি জেলে যান, সেই ব্যবস্থা করব।" তাঁর সংযোজন, "BLO-রা কোনও পার্টি, কোনও দাদা-দিদির কথা শুনবেন না। নইলে আপনাদের পরিণতিও বিহারের BLO-দের মতো হবে।"

পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী বলেন, "দেখছে যখন সিবিআই-ইডি আর ধর্ম দিয়ে ভোটে জেতা যাচ্ছে না, তাই জ্ঞানেশ কুমারকে দিয়ে ভোটার তালিকা থেকে ন্যায্য ভোটারের নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা ! তাই কি বিহারের উদাহরণ দিচ্ছে ? বিহারে এতজন বিএলও-কে নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড করেছে। এটা কি প্রকারান্তরে হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যের বিএলও-দের প্রতি যে, আমাদের নির্দেশমতো কাজ করো, নাহলে জ্ঞানেশ কুমারকে দিয়ে তোমাদের সাসপেন্ড করিয়ে দেওয়া হবে ?"

Continues below advertisement

যদিও, এর আগে খোদ মুখ্য়মন্ত্রীও কার্যত বিএলও-দের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "আপনারা BLO যেসব লিস্ট করেছেন, BLO-দের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ভোটার লিস্ট থেকে কারও নাম যেন বাদ না যায় সেটা দেখার। মনে রাখবেন নির্বাচন কমিশন তার নোটিফিকেশন যখন হবে, ডেট অফ ইলেকশন তখন থেকে এটা ইলেকশন কমিশনের আন্ডারে যায়। তার আগে রাজ্য সরকার। আবার নির্বাচনের পরেও রাজ্য সরকার। সুতরাং এটা মনে রাখবেন আপনারা চাকরি করেন রাজ্য সরকারের। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্থা করবেন না।"

শাসক-বিরোধী হুমকি দিচ্ছে। আবার নির্বাচন কমিশন বলছে, নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতেই হবে। এসবের মাঝে চিঁড়ে চ্য়াপ্টা অবস্থা BLO-দের। তাঁরা চাইছেন নিরাপত্তা।