সুনীত হালদার, হাওড়া: 'সিনেমার মতো ডায়লগ না দিয়ে বিজেপি (BJP) কার্যকর্তাদের (karyakarta) উপর একবার গুলি (bullet) করে দেখুন না', অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে (abhishek banerjee) কার্যত চ্যালেঞ্জ (challenge) ছুড়লে বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল (agnimitra paul)। আজ হাওড়া জেলা হাসপাতালে জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে এসেছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক। সেখানেই বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কে? তিনি কি সুপার সিএম হতে চাইছেন ? তিনি কি সুপার পুলিশ মন্ত্রী হতে চাইছেন?'


'বিস্ফোরক' অগ্নিমিত্রা...
 এদিন রীতিমতো ঝাঁঝালো মেজাজে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর ইচ্ছা করে, লোকেদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে গরু চোর, সোনা চোর, কয়লা চোরদের ওপর ইট বৃষ্টি করাতে। কিন্তু তাঁদের দল তা অনুমোদন করে না। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ট্যুইট নিয়েও কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। অগ্নিমিত্রার কটাক্ষ, মহুয়াকে কোনও দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। 'গরু চোর', 'কয়লা চোর', 'চাকরি চোর' এমনকী হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়েও তাঁকে কোনও কিছু বলতে শোনা যায়নি। এর পরেই হুঁশিয়ারি,  'বুলডোজার চালিয়ে দেখুক, আমরা কী করতে পারি।' হাসপাতালের লিফটে করে উপরে উঠতে গেলে এদিন লিফট খারাপ হয়ে যায়। পাঁচ-সাত মিনিট লিফটেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিধায়ক। পরে তাঁকে অন্য লিফটে করে মেল মেডিকেল ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তিনি পৌঁছানোর আগেই ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়।


প্রেক্ষাপট...
এদিনই আবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের আঁচ মিলল রাজ্য বিধানসভায়। শাসক-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। সঙ্গে 'চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান'। পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও। নবান্ন অভিযানে পুলিশের মারধরের অভিযোগে বিধানসভায় সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। পাশাপাশি, টাকা উদ্ধারকাণ্ডেও বিজেপি বিধায়কদের সরব হতে নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনছে। পাল্টা নবান্ন অভিযানে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শাসকদল। এমন উত্তাপ যে ছড়াতে পারে, তা আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর শাসক-বিরোধীদের মধ্যে যে উত্তাপ তৈরি হয়েছিল, তা আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। নির্দেশ মোতাবেক, প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বিধানসভার আন্দরে। অন্যান্য দিনের তুলনায় মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। এদিন বিধানসভায় পোস্টার হাতে ঢোকে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ। বিধানসভায় যখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে, সেই সময় দেখা যায় বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আসে। দুর্নীতির ইস্যুতে আলোচনা চায়। স্পিকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানান, এটা হতে পারে না। পোস্টার নিয়ে বিধানসভার অন্দরেই স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা।


আরও পড়ুন:ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া পদক, ইতিহাস ভিনেশের