কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence Allegations) নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপি-র (BJP)। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বুধবার দিল্লিতে বিরোধী শিবিরকে একজোট করতে বৈঠক ডেকেছেন মমতা। কিন্তু ওই বৈঠককে গুরুত্বহীন, অপ্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করলেন শুভেন্দু।
বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপি-র
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এবং রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে এ দিন বিধানসভায় আলোচনার দাবি জানায় বিজেপি। অভিযোগ করে, এই সমস্ত ইস্যুতে রাজ্য সরকার নীরব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিবৃতিও দাবি করে বিজেপি। তাতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে পাল্টা সরব হন তৃণমূলের (TMC) মহিলা বিধায়করা।
এর পরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেখানেই দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকের প্রসঙ্গ উঠে আসে শুভেন্দুর মুখে। তিনি বলেন, "গত বছর বিজেপি-র প্রার্থী যত বেশি ভোটে জিতেছিলেন, এ বারে তার থেকেও বেশি ভোটে জিতবে। গতবার এখানে আমাদের তিন জন সাংসদ ছিলেন। তা-ও বাংলা থেকে ১৩জনের ভোট পেয়েছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। এ বার আমরা ৭০ জন। এখান থেকে আরও লিড বাড়বে। আরও বেশি ভোট পাবেন বিজেপি-র প্রার্থী। গত বার দু'জন ভোট দিয়েছিলেন, এ বার ১৮ জন ভোট দেবেন। তার চেয়ে বেশিও হতে পারে। যোগী আদিত্যনাথ জেতার পর লাড্ডু খাইয়েছিলাম। এ বার এনডিএ-র প্রার্থী জেতার পরও খাওয়াব। গণনা পর্যন্ত শুধু অপেক্ষা।"
এ দিন দিল্লিতে মমতার বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "অন্ধ্রপ্রদেশের জগন রেড্ডি, তেলঙ্গানার কেসিআর, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক ভোরবেলাতেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠক এতটাই অপ্রাসঙ্গিক যে দেশের প্রধান বিরোধী দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, কেউ যাচ্ছেন না। বৈঠকের গুরুত্ব থাকলে কংগ্রেস সভানেত্রী অবশ্যই যেতেন। তার জায়গায় জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেসের কেরানিরাই শুধু যাচ্ছেন। কেসিআর, জগনরা কেউ যাননি।"
দিল্লিতে মমতার বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর
আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটগণনা ২১ জুলাই। তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও, শাসক-বিরোধী দুই তরফেই প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি এখনও। বিরোধীদের তরফে প্রথমে শরদ পওয়ারের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু পওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতে রাজি হননি বলে খবর। এনসিপি সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা আসন সংখ্যায় আদৌ পেরে উঠবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পওয়ার। প্রাক্তন আমলা তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর কাছেও প্রস্তাব গিয়েছে বলে খবর। সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন তিনি।