কলকাতা: সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি ফিরলেন অবশেষে। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হল অর্জুন সিংহের (Arjun Singh)। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি। তিন বছর বাদে ২০২২ সালের ২২ মে ফিরলেন নিজের পুরনো দলে। শুধু শিবির বদলানোই নয়, অর্জুন তৃণমূলে যোগ দিয়েই বদলে ফেললেন নিজের ফেসবুক ও সোশ্য়াল মিডিয়ার ছবিও।
অর্জুনের ফেসবুক পেজেও পরিবর্তনের হাওয়া
এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে নিজের অফিসে দলের ভাবী 'উত্তরসূরি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দলে ফেরালেন পুরনো সৈনিককে। ব্যারাকপুরের সাংসদ এরপরই নিজের ফেসবুক পেজে প্রোফাইল ছবি পাল্টে ফেলেছেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সেই দলের উত্তরীয় পরা ছবি দিয়েছেন অর্জুন। কভার ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে অভিষেক অর্জুনকে যেই মুহূর্তে তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন।
তৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরে থেকে টিকিট পাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতান্তর দেখা দেয় অর্জুনের। জন্মলগ্ন থেকে যে দলের সঙ্গে যুক্ত, যে দলের জন্য 'বাহুবলী' ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া তাঁর, তাদের কাছ থেকে 'প্রাপ্য' সম্মান না পেয়ে কার্যতই আঁতে ঘা লাগে অর্জুনের। তাই কোও রকম সাধাসাধিতে না গিয়ে বিজেপি-তে গিয়ে ওঠেন। গেরুয়া দাপটের জোর তো ছিলই, নিজের প্রতাপও কিছু কম ছিল না অর্জুনের। ফলে একরকম হেসেখেলেই ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হন তিনি।
কিন্তু যে প্রতাপের জন্য এক সময় তাঁকে লুফে নিয়েছিল বিজেপি, সেখানে সমাদর তো দূর, দিল্লির অঙ্গুলিহেলন ছাড়া একচুল নড়ারও অনুমতিও পাননি বলে অভিযোগ। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একসময় তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যেত যে অর্জুনকে, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননদের পাশে পার্শ্বচরিত্র হিসেবেও মুখ দেখানোর সুযোগ পাননি তিনি। বরং তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অধিকারী পদ্মশিবিরে গিয়ে যেটুকু হাঁকডাক করতে পেরেছেন, তার সিকিভাগও করতে পারেননি অর্জুন।