কলকাতা: সংসদে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করলেন সৌমিত্র খাঁ। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ দুর্নীতিতে জড়িত তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। আর তাঁর এই মন্তব্যের পর প্রশংসা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সংসদে নিশানা সৌমিত্রর: এদিন সংসদে সংসদে অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'দুর্নীতিতে জড়িত অভিষেক, গ্রেফতার করা উচিত। ৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন। বিজেপি সাংসদের প্রশংসা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। খুব ভাল বলেছ বলে বিজেপি সাংসদের প্রশংসা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, 'কাচের ঘরে থেকে অন্যের দিকে পাথর ছোড়া উচিত নয়।'অভিষেককে সঠিক জবাব দিয়েছেন বলে সৌমিত্রর প্রশংসায় শুভেন্দু।
বুধবার সংসদে বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে নাম না করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের উল্লেখ করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "স্যর এবার আমি D-তে আসব। বঞ্চিত। যেভাবে মাননীয় সদস্য তাঁর স্ত্রীকে বঞ্চিত করেছেন। স্যর D ফর ডিপ্রাইভ।'' এরপরই, নিজের আসন থেকে নেমে আসেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। তুমুল হইহট্টগোল শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্পিকারের চেয়ারে থাকা বিজেপি সাংসদ দিলীপ সইকিয়া বলেন, যিনি এখানকার সদস্য নন, তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আসতে হয় খোদ অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়।
এদিকে আদালতে স্বস্তি পেলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। সোনামুখী থানায় দায়ের হওয়া FIR এর প্রেক্ষিতে চলতে থাকা মামলা খারিজ করলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। ২০২৩ সালে একটি অশান্তির ঘটনায় বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমিত্র খাঁ। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Murshidabad News: বেরোয়নি বিজ্ঞপ্তি, নেই পদের অস্বস্তিও, নিয়োগপত্র হাতে হাজির যুবক; কী হল তারপর?