পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএমকে (CPIM) পাশে চাইলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে হারাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ফর্মুলা দিলেন বিজেপি সাংসদ। বিজেপি কি সত্যি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আছে? প্রশ্ন সিপিএমের। রাম-বাম এক, তা প্রমাণ করলেন সৌমিত্র খাঁ, কটাক্ষ তৃণমূলের।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "তাই আমি আপনাদের কাছে বলব, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে সবাই মিলে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জন প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওয়ান ইচ টু ওয়ান প্রার্থী দিই।"
তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত মহাজোটের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলীয় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদাররা। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরাসরি সিপিএমকে পাশে চাইলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
সম্প্রতি ফেসবুকে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, সময় এসেছে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে রেখে, বাংলার স্বার্থে, ১০ কোটি বাঙালির স্বার্থে, সকল শ্রেণির, সকল স্তরের, মানুষকে একত্রিত হয়ে, ভয়ের গ্যাস চেম্বার থেকে বেরিয়ে এসে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভুল নীতি খামখেয়ালিপনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এবং সরকারকে আয়না দেখানোর। আজ না করতে পারলে ভবিষ্যতের কাছে আমাদের জবাব দেওয়ার মতো কোনও উত্তর থাকবে না।
আরও পড়ুন, তৃণমূল নেতাদের বিশাল সম্পত্তির হিসেব দিয়ে পোস্টার, দুবরাজপুরে চাঞ্চল্য
আর রবিবার, বাঁকুড়ার ওন্দার রতনপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার আহ্বান জানালেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, "এ সমস্ত সিপিএম নেতাদের বলব, আমি এখানে অমিয় পাত্র বাবুকেও বলব যে, আপনাদের একটা ডিসিশন, ভুলের জন্য, আপনাদের প্রকাশ কারাতের ভুলের জন্য, আপনারা এই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছেন। আপনাদের পার্টির সীতারাম ইয়েচুরির ভুলের জন্য বাংলায় বিধানসভায় শূন্য হয়েছেন। তাই আমি আপনাদের কাছে বলব, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে সবাই মিলে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জন প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওয়ান ইচ টু ওয়ান প্রার্থী দিই।
সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "বিজেপি কী সত্যি সত্যি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইতে আছে, থাকলে তৃণমূল নেতাদের চিটফান্ডকাণ্ডে জেলে থাকার কথা। বিজেপি তৃণমূলকে বাড়তে সাহায্য করেছে মোদি-মমতার মিটিং।"
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মহাজোটের ডাকের পর এবার, বিজেপি সাংসদের সিপিএমকে পাশে চাওয়ার ডাক ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।