সাঁতরাগাছি : বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সাঁতরাগাছিতে (Santragachi)। কর্মসূচি রুখতে মরিয়া পুলিশ। কর্মসূচির শুরুতেই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে জলকামান ব্যবহার পুলিশের। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বাঁশ ছোড়ে বিজেপি সমর্থকরা। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। লাঠি উঁচিয়ে তেড়েও যায় পুলিশ। 


ময়দানে বিজেপি-


উত্তেজনার আঁচ ছিলই। কিন্তু, রাত থেকে বৃষ্টি। সকালেও মেঘলা আকাশে ঢাকা পড়ে তিলোত্তমা। তার জেরে আন্দোলনে কর্মী-সমর্থকরা কতটা যোগ দিতে পারবেন, তা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে আশঙ্কা ছিলই। যদিও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নবান্নমুখী হওয়ার ঢল দেখা যায়। আর সেই নবান্নমুখী মিছিল আটকাতে বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন প্রান্ত আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তা সত্ত্বেও সকাল থেকেই এগিয়ে আসেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।


আরও পড়ুন ; দলীয় বিধায়ককে 'বাধা', অবরোধস্থলে এসে পড়া তৃণমূলী প্রধানকে মারধর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের


শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে আসার ঠিক হওয়ায় সকালেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। গার্ড রেল ঝালাই করে রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। মজুত করা হয় ২টি জল কামান, প্রচুর পুলিশ। সাঁতরাগাছিতে কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। হাতিয়ার বলতে ঢাল, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস আর রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে ঝালাই করে আটকে দেওয়া হয় লোহার ব্যারিকেড। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরবও হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে বিজেপি নেতা লেখেন, "গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক একটা কর্মসূচিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে মমতার পুলিশ। সাঁতরাগাছিতে স্টিলের ব্যরিকেড তাঁর উদ্বেগ ও ভীরুতার প্রতীক।" এরপরই তিনি মমতা-সরকারকে হুঙ্কার দিয়ে লেখেন, "গণতন্ত্রের ঢেউয়ের সামনে কোনও দেওয়ালই টিকবে না। খুব শীঘ্রই তা হতে চলেছে।" 



আর এই আঁচই অব্যাহত রইল বিজেপির অভিযানে। শুরুতেই সেই চিত্র দেখা গেল। বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের গার্ড রেল টপকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, পাথর, বাঁশ। গার্ড রেল ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় পুলিশের কিয়স্ক। পাল্টা জল কামান ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠি উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে পুলিশ। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে।