বংশীহারী(দক্ষিণ দিনাজপুর) : নিজের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে এলেন বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আজ শুরুতেই দৌলতপুর বংশীহারী ব্লকের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এর পর বুনিয়াদপুর টাউন মণ্ডলের পক্ষ থেকেও তাঁকে সংবর্ধিত করা হয়।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো একটা প্রত্যন্ত জেলা থেকে আমাকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। সংগঠন বাড়াতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বছরে ছয় হাজার টাকা নেওয়ার থেকে পাঁচ হাজার টাকার একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়র দলত্যাগের ২ দিনের মাথায় দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি বালুরঘাটের সাংসদও। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয় দিলীপ ঘোষকে। নতুন রাজ্য সভাপতিকে ট্যুইটে অভিনন্দন জানান দিলীপ ঘোষ। সময়োচিত পদক্ষেপ বলে ট্যুইট করেন তথাগত রায়।
এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, "এটা প্রত্যাশিত ছিল। দিল্লিতে পার্লামেন্ট সেশনের সময় শুনেছিলাম দিলীপ ঘোষ সরছেন এবং সুকান্ত মজুমদার নতুন রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন। দিলীপ ঘোষের নিজেরই পদত্যাগ করলে ভাল ছিল। যে সভাপতির নেতৃত্বে দল হেরে যায় তাঁর সাধারণত পদত্যাগ করা উচিত। সুকান্ত মজুমদার নতুন, বাংলাকে চিনতেই তাঁর অনেক সময় লেগে যাবে। দিলীপ ঘোষের প্লাস সাইড হল, উনি খুব পরিশ্রমী ছিলেন, আরএসএস (RSS) করা লোক। আর মাইনাস সাইট হল অকথা-কুকথা বলায় ওঁর কোনও জুড়ি ছিল না। ওঁর কথায় অনেক কর্মী বিরূপ হয়ে গিয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদারের বাংলাকে চিনতে চিনতেই বিজেপির বাংলায় ক্ষয় হয়ে যাবে।"
এই নিয়ে বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছিলেন, "সময়োচিত পদক্ষেপ। কারণ এমনিতেই দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছিল। উনি কিছু কিছু কাজ করছেন যার জন্য বিজেপির ক্ষতি হয়েছে। এর থেকে বড় কোনও সমালোচনা করতে যাব না। সুকান্ত মজুমদারের অতীত খুব স্বচ্ছ। উনি রাজ্য বিজেপিকে নতুন আশা দেখাতে পারবেন বলে মনে হয়। উপনির্বাচন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বড় বিষয় নয়।"