প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া : বড়সড় সাফল্য বাঁকুড়া জেলা পুলিশের। আন্তঃরাজ্য বাইক ও টোটো চুরি চক্রের ছয় পান্ডাকে গ্রেফতার করল তারা। এর পাশাপাশি ১৪ টি টোটো ও ২০ টি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার মেজিয়া থানায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই খবর জানান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।


তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে গঙ্গাজলঘাঁটি, শালতোড়া, ছাতনা ও মেজিয়া থানা এলাকায় দু'টি টোটো ও চারটি মোটর বাইক চুরি যায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে রানিগঞ্জের বাসিন্দা নাসিম আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মাজার শরিফ এলাকার সেলিম শেখকে গ্রেফতার করে বেশ কয়েকটি টোটো ও বাইক উদ্ধার করা হয়। ওই সূত্র ধরেই রানিগঞ্জের বল্লভপুর থেকে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার শালতোড়া থেকে আসলাম শেখ নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যে টোটো ও বাইকগুলি উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি বাঁকুড়া জেলার পাশাপাশি আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে চুরি যাওয়া বলে তিনি জানান।


প্রসঙ্গত , গত মাসেই বাইক পাচারকারী এক চক্রের পর্দাফাঁস করে মালদার মানিকচক থানার পুলিশ। গভীর রাতে মানিকচক থানার পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে মানিকচক থানার আইসি জানান, খবর পাওয়া যায়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে বাইক পাচার করে আনা হচ্ছে এই রাজ্যে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। সেই খবর অনুযায়ী অভিযান চালায় মানিকচক থানার পুলিশ। সেই অভিযানে মানিকচক ঘাট থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মধ্যে ধৃত ওয়াসিম আলি ও আলমগির শেখ ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যশরত টোলার বাসিন্দা এবং শেখ বশির ওরফে বয়সী কালিন্দ্রি রাজনগরের বাসিন্দা।


এর আগে, ওড়িশা থেকে বাইক চুরি করে পূর্ব মেদিনীপুরে পাচার করার অভিযোগে ভিন রাজ্যের ২ যুবককে গ্রেফতার করেছিল এরাজ্যের পুলিশ। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া ১০টি বাইক।
কাঁথি থানা সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে কাঁথি শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক বাইক চুরি যাচ্ছিল। বাইক চুরি যুবকদের ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশের। এই ঘটনার সঙ্গে জেলায় বেশ কয়েকজন জড়িত বলে অনুমান করা হয়।