কলকাতা: ব্রিগেডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা শমীক ভট্টাচার্যের। তিনি বলছেন, 'রাজ্য সরকারের অনুমোদনে বাবরি মসজিদ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে বাবরের শাসন চলছে, এই সরকার হিন্দু বিরোধী সরকার। এই সরকার ভারতীয় মুসলিমদেরও পক্ষে নয়, মৌলবাদের পক্ষে, বিচ্ছিন্নবাদের পক্ষে।' বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ''ভারতবর্ষে মাটিতে, শ্রীকৃষ্ণের মাটিতে গীতাপাঠ হবে তা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর জন্য সংঘবদ্ধ হতে হচ্ছে মানুষকে। আর তার জন্য় নানারকম সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করছে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কেমন।''
রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করে শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, ''এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশী হিন্দু, উদ্বাস্তুদের বিরোধী সরকার। এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন এটি একটি পৃথক দেশ। আর তিনি সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে তাে তা হতে পারে না।''
রাজ্য সরকার বাংলার মানুষের মধ্য়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বলেও আক্রমণ জানিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলছেন, 'পশ্চিমবাংলা বিভাজনের শিকার হয়েছে হিন্দু-মুসলমানের নেতৃত্বে। হিন্দু সমাজ সংগঠিত ছিল না, তাই বিভাজনের বলি হয়েছি আমরা। লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও দাস জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশে আমাদের ভাইয়েরা অত্যাচারিত হচ্ছেন। মঠ মন্দির ধ্বংস করে, মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সেই ঘটনা না হোক, সেই জন্য এখানে হিন্দু জাগরণের দায়িত্ব নিয়েছেন সন্তরা। তাঁরা আমাদের আদেশ করেছেন আসুন, লক্ষ লক্ষ সংখ্যায় গীতাপাঠ করে, হিন্দুকে সংগঠিত করি। যাতে দ্বিতীয়বার বিভাজন না হয়। হিন্দুকে পরাধীন হতে না হয়। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতবর্ষে মাথা উচু করে বাঁচবে এখানে। যেখানে দশবার ভগবান জন্মেছেন। ..সেজন্য গীতাপাঠের আয়োজন।'
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আজকে কিছু লোক বলছে ৯০ আসল তাঁদের। থাকতে সবাই পারে এখানে। কিন্তু ভাগ তো হয়েছিল হিন্দুদের জন্য। কিন্তু হিন্দুরাই যদি এখানে পরবসী হয়ে যায়, তবে তো চিন্তার বিষয়।'' আগামী বছর নির্বাচন। তার আগে এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজনে কি কোথাও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ''এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুরোটাই ভিত্তিহীন কথা।'
গত বছর, লোকসভা ভোটের আগেও, ব্রিগেডেই হয়েছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। আর কয়েক মাস পরে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার মহারণ! তার আগে রবিবার সেই ব্রিগেডেই '৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে'র আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।