কলকাতা: 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা এই কাজ করতে পারে না। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে বলির পাঁঠা করা হল'। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের ইস্যুতে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পার্থর দুর্নীতির ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) নিশানা করেছেন সুকান্ত। এদিন কার্যত নাম নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন 'এটার সঙ্গে পুরো সরকার জড়িত। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আবার ভোট হবে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা বাংলা শাসন করবে। একা পার্থ জড়িত হতে পারে না। মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ধনে জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতারা লিস্ট পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীই নাম পাঠাতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? সব চোরগুলোকে জেলে পাঠাতে হবে'।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলার মানুষ রাগে ফুঁসছে। সেপ্টেম্বরে বিজেপির নবান্ন অভিযানের ডাক সুকান্ত মজুমদার। নবান্নের সামনে অনির্দিষ্টকাল অবস্থানের ডাক। গতকাল রাতে ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। গ্রেফতারির ৬ দিন পর মন্ত্রীত্ব থেকে অপসারিত করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু মন্ত্রিত্ব থেকেই নয়, এদিন তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থকে। এদিন দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, আজ ফের পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, মিছিল করে রাজনৈতিক দলগুলিও।
অন্যদিক পার্থ-অর্পিতাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে সৌগত রায়েরও। তৃণমূল সাংসদকে সরাসরি নিশানা দিলীপ ঘোষের। বিজেপি সাংসদ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ট্যুইটে লিখেছেন, অর্পিতার আবাসন থেকে ৩৫ কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। ওই আবাসনে প্রায়ই যেতেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর একটি অফিস ছিল ওই আবাসনে। যত সময় যাচ্ছে, তৃণমূল নেতাদের নোংরা মুখোশ খুলে যাচ্ছে। ট্যুইটে লেখেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ।
অর্পিতার ফ্ল্যাটে গিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। বিজেপির রাজনীতির প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোতেও কখনও যাইনি। অর্পিতাকে চিনি না। প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।