অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: শুক্রবার নেতাইয়ে ‘শহীদ স্মরণে’ থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেয় পুলিশ। এই ঘটনার জেরে প্রায় ২৫ মিনিট পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দুর বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শুভেন্দু বলেন, "হাইকোর্টের আদেশ নিয়েই এখানে এসেছিলাম, পুলিশ বাধা দিয়েছে। একাই নেতাইয়ে ঢুকতে চেয়েছিলাম, পুলিশ অনুমতি দেয়নি।"
ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে মৃতদের স্মরণে ৭ জানুয়ারি শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায়, তাঁকে যাওয়া-আসার সময়েও নিরাপত্তা দেবে সরকার, এর আগে এমনটাই জানান হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ওই দিনটিকে নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে, লালগড়ের নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও নেতৃত্বরা। শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে শহিদ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শহীদ বেদিতে ফুলের মালা দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান ঝাড়গ্রাম এর প্রাক্তন সাংসদ ডাক্তার উমা সরেন ,বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাতো, দুলাল মুর্মু,দেবনাথ হাঁসদা, সহ আরো অনেকে।
অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে প্রাক্তন সিপিএম নেতা তথা হলদিয়ার সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে (Lakshman Seth) নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাম আমলে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন চলাকালে পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এবার সেই লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়েই প্রাক্তন দল তৃণমূলকে বিঁধলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক।
নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রামের অত্যাচারের নায়ক ছিলেন লক্ষ্ণণ শেঠ। তিনি এখন তৃণমূলের হয়ে কথা বলেন। অপেক্ষায় রয়েছি কবে লক্ষ্ণণ শেঠকে মালা পরিয়ে ওরা বরণ করে নেয়। তিনি বলেছেন, লক্ষ্মণ শেঠ এসে তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটাবেন, এটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন তিনি।