আশাবুল হোসেন, কলকাতা : এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) কলকাতায় আসার ঠিক আগের দিনই চরম নাটকীয় পরিস্থিতি। দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করার কথা জানিয়ে তৃণমূল সাংসদদের কাছে চিঠি দিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির দলীয় প্যাডে লেখা চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সাংসদদের।


দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার কথা জানিয়ে পাঠানো যে চিঠি নিয়ে বেশ রুষ্ট ঘাসফুল শিবিরের সাংসদরা। তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য়সভার সাংসদ তথা ঘাসফুল শিবির সহ বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। সেই তথ্য জেনেও যেভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে ও যে বয়ানে সেই চিঠি, তা নিয়ে অসন্তুষ্ট তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, বিজেপি নেতাদের চিঠির ভাষায় আবেদনের ভঙ্গি যথাযথ নয়। তাঁদের কার্যত দাবি, যে রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মু জয়ী হতে চলেছেন, তাই তাঁকে সমর্থন করুন। যে বিষয়টি সমর্থনযোগ্য নয়।


আগামীকালই কলকাতায় এসে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর নাম মনোনীত হওয়ার পর তিনি সনিয়া গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেত্রীদের ফোন করেছিলেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে ফোন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর জন্য সমর্থনও চেয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনালাপেই তাঁকে জানিয়ে রেখেছিলেন যেহেতু বিরোধী দল ইতিমধ্যে প্রার্থী মনোনীত করে ফেলেছে, তাই তাঁদের পক্ষে সমর্থন করা সম্ভব নয়।


যদিও কিছুদিন আগেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিজেপি আগে থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ভাবার কথা জানালে তিনি অন্য হয়ত অন্য ভাবনা নিতেন।


আরও পড়ুন- একদিনের সফরে কলকাতায় দ্রৌপদী মুর্মু, এসেই যাবেন রাজ্য বিধানসভায়


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আগে থেকে যদি বিজেপি জানাত, যে একজন আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করছে, তাহলে আমরাও চেষ্টা করতাম, এটা বৃহত্তর স্বার্থের কারণে, আমরা যে বিরোধীরা ১৬-১৭টা দল আছে, আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, যে একটা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী হলে দেশের পক্ষে ভাল হতো, একসময় এপিজে আব্দুল কালামও হয়েছেন, কিন্তু বিজেপি যখন আমাদের ফোন করেছিল, তখন শুধু আমাদের সাজেশন জানতে চেয়েছিল, কিন্তু ওদের সাজেশন আমাদের জানায়নি। তাই আমি মনে করি যে, বড় স্বার্থে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী আমি সব সময় পছন্দ করি, যেহেতু ১৭-১৮টা রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সবাই না বললে, আমি একা ফিরে আসা সম্ভব নয়।