কলকাতা : একের পর এক নেতার দলবদলে চাপে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে দলকে উজ্জীবিত করতে 'দাওয়াই' রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। "ভোট লুঠ করতে এলেই তাড়া করে মারতে হবে", মহিলা মোর্চার সভায় সুকান্ত মজুমদারের দাওয়াই। তিনি জানান, প্রতি বুথে ৫জনকে নিয়ে গঠন করা হবে দুর্গা বাহিনী। পুলিশকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করবে দুর্গা বাহিনী। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এখন পুলিশের উপর নির্ভরশীল।


এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "গরমকাল চলছে তো, মাথা গরম হলে দু-চারটে কথা বেরোয়। আবার, বর্ষাকাল, শরৎকাল এলে অবস্থা ফিরে আসবে। যাঁরা বুথ কমিটি গঠন করতে পারে না, বুথে একটা লোক পায় না, তাঁদের আবার বড় বড় কথা। গরুর গাড়ির হেডলাইট। মায়ের-বোনেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। আর এক সুকান্তবাবু, যিনি বিজেপির ট্রেনি সভাপতি, তাঁর দিল্লির সরকার স্বীকার করছে, মহিলা কর্মসংস্থানেও ভারতের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। এখানে মায়েরা-বোনেরা দুই হাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেন। যে ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাঁর সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে বিবৃতি আর ফেসবুকে ওপর বিজেপি রয়ে গেছে। এগুলো না থাকলে তো রাজ্য বিজেপি বলে কিছু থাকত না।"


অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সব এলাকায় এলাকায় ক্যাঁচাল করেন, সেই মহিলাদের সামনে রাখুন। ক্যাঁচাল করে কথাটার মানে বোঝা যায়। এটা মুখ্যমন্ত্রীর অগণতান্ত্রিক মনোভাব ছিল। আর একইরকমভাবে দুর্গাবাহিনী দিয়ে যদি কোনও অগণতান্ত্রিক মনোভাব সুকান্ত মজুমদার নিতে চান, সেটা কখনোও গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু, তারই বা দরকার কী আছে ? আরএসএসের দেবী দুর্গা তো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সুকান্ত মজুমদার খবরাখবর নিয়ে কথা বলছেন তো। উনি আবার আলাদা করে কি দুর্গাবাহিনী কী করবেন ? "