কলকাতা : বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পরেই আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের দুই 'বিক্ষুব্ধ' জয়প্রকাশ মজুমদার (Joyprakash Majumdar) ও রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari)। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ইস্যুতে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। কেন কিছু না জানিয়েই এভাবে শাস্তি হয়ে গেল ? বারবার এই প্রশ্ন তুলছেন। যদিও এপ্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, আমাদের কাছে কিছু জানতে চাননি। উনি মিডিয়ার কাছে জানতে চাইছেন। মিডিয়া উত্তর দেবে।
আজ শৃঙ্খলাভঙ্গ ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশ বলেন, নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই, বলা হল শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের জবাব দাও। আসলে তদন্ত, বিচারের আগেই শাস্তিটা হয়ে গিয়েছে। মিডিয়ার কাছ থেকে জানলাম আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে, আমি পাইনি। স্পিড পোস্টে আজ সকাল ১১টায় আমি শৃঙ্খলাভঙ্গের চিঠি পেয়েছি! আয়নায় তাকিয়ে বলতে হবে, শৃঙ্খলাভঙ্গ কে করল? মাননীয় সভাপতি, যারা আগে শোকজের চিঠি প্রকাশ করল, এটা কোন ধরনের অভ্যন্তরীণ বিষয়? যা অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল, আমি দলবিরোধী কিছু করিনি। শান্তনু ঠাকুর বলার সময় আমি পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এটাই কি মানদণ্ড? এটাই মানদণ্ড হলে কেউ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের পাশে দাঁড়াতেও ভয় পাবে।
আরও পড়ুন ; "বর্তমান রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করছেন", একহাত অমিতাভকেও; সুর চড়ালেন জয়প্রকাশ-রীতেশ
এভাবে একের পর এক বিষয়ে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জয়প্রকাশ-রীতেশ। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কেন সিদ্ধান্ত সেব্যাপারে ওঁর জানার কোনও এক্তিয়ার আছে বলে আমার জানা নেই। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই লড়াই চলছে। বিজেপির প্রত্যেকেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে।"
রবিবারই বঙ্গ বিজেপির তরফে দুই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন! কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপর গতকাল বিজেপি (BJP) থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এনিয়ে আজ যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা।