রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ভোটে জিতলে (WB Municipal Polls 2022) মেয়র কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে দলের অন্দরেই। তবে সে সব সরিয়ে রেখে আপাতত প্রচারে মন দিচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty)। বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনে (Bidhannagar Municipal Elections) ২৯ নম্বরও ওয়ার্ড থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সকাল প্রচারে দেখা গেল তাঁকে। সেখানে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসও ঝরে পড়ল তাঁর গলায়।
এ দিন সকালে ব্লকে ঘুরে ঘুরে প্রচার সারেন কৃষ্ণা। কোভিড বিধি মেনেই প্রচার সারেন তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। সমর্থন প্রার্থনা করেন। সেখানে কৃষ্ণা বলেন, ‘‘বিগত দিনে যে ভাবে কাজ করেছে তৃণমূল, নির্বাচনে তার ফল মিলবে। মানুষ যে ভাবে সাড়া দিচ্ছেন, তাতে ফল ভাল হবেই।’’
কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Polls) প্রসঙ্গ তুলে এ দিন বিধাননগর মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় বামফ্রন্ট। সুষ্ঠ ভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সারার আবেদন জানান। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কৃষ্ণা বলেন, ‘‘৩৪ বছর বাম শাসনে যে ভাবে ভোট হয়েছে, আজকের দিনে তা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। কী ভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বয়, তা বসে দেখতে হবে বামফ্রন্টকে।’’
প্রচার চলাকালীন এ দিন এলাকার বেশ কিছু গেস্ট হাউস মালিকের সঙ্গে কথা বলেন কৃষ্ণা। তাঁদের কৃষ্ণা জানান, নির্বাচনের আগের তিন দিন গেস্ট হাউসে বাইরে থেকে আসা কাউকে রাখা যাবে না। পুরভোটের আগে বহিরাগতরা এসে যাতে ঝামেলা পাকাতে না পারে, তার জন্যই এমন উদ্যোগ বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
করোনা আবহে ২২ জানুয়ারি থেকে বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর—এই চার পুরসভা কেন্দ্রের নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।
বিধাননগরে এ বার প্রাক্তন মেয়র কৃষ্ণা এবং বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরত আসা সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta), দু’জনকেই টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। সব্যসাচী ভোটের ময়দানে নামছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। কৃষ্ণা ভোটে লড়বেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ফলে, বিধাননগর পুরসভা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা রকমের জল্পনা। তবে বিধাননগরের বিদায়ী ডেপুটি মেয়র এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়কে এ বার আর পুরসভায় প্রার্থী করা হয়নি।