কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি সুকান্ত মজুমদারের। একটি পোস্টারের ছবি পোস্ট করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ট্যুইট করেছে, 'পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের এভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। খুন করা, বোমা-গুলি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোনও বিজেপি-আরএসএস এখানে থাকবে না। কোনও বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। কথা না শুনলে মাথা কাটা যাবে, মুণ্ড নিয়ে ফুটবল খেলা হবে।' হুমকি-পোস্টারের ছবি পোস্ট করে ট্যুইট করেন সুকান্ত মজুমদার।
ট্যুইট করেই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা জবাব দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অরূপ লেখেন, 'আপনাকে অনুরোধ করছি, ওই প্রার্থীর সমস্ত তথ্য আমাকে দিন। সমস্ত তথ্য পাওয়ার পরে আমি নিজে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য সাহায্য করব। যদি আপনি তথ্য দিতে না পারেন, তাহলে বুঝব, এটা শুধুমাত্র অভিযোগ করার জন্য অভিযোগ এবং এই দাবির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।' পাল্টা ট্যুইটে সুকান্তকে জবাব অরূপ বিশ্বাসের।
কোথাও মারধর, কোথাও আবার বোমাবাজির অভিযোগ। দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদলও। এই আবহেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগ ও একগুচ্ছ দাবিতে আজ রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণে মনোনয়ন পত্র না এসে পৌঁছনোয় তা জমা দিতে পারছেন না প্রার্থীরা। মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। এছাড়া, ডোমকলে কংগ্রেস কর্মী খুন হওয়ায় বিরোধী শিবিরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে বিজেপির দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ার- সহ কোনও অস্থায়ী কর্মীকে ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্য়বহার করা হোক। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।