জয়দীপ হালদার, কাকদ্বীপ: জলের তোড়, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যায় পণ্যবাহী নৌকা। নৌকাটি ঘাটে নোঙর করা ছিল।


অন্যদিকে, আজ সকালে মৌসুনী দ্বীপে চিনাই নদীর বাঁধের একাংশ জলের তোড়ে ভেঙে যায়। প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। 







ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কা কাটলেও, কাকদ্বীপে সতর্ক এনডিআরএফ ও পুলিশ। বাঁধের ওপর চলছে নজরদারি। নিচু এলাকা থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেই পাথরপ্রতিমায় নৌকায় চড়ে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ।


এদিকে, ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর, ওড়িশা উপকূল ধরে পুরীর দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে গোপালপুর থেকে ১৩০ কিলোমিটার, পুরী থেকে ১৮০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। আজ দুপুরেই নিম্নচাপ পৌঁছে যাবে পুরীর কাছাকাছি। আগামীকাল বাংলার উপকূলে পৌঁছনোর আগে আরও দুর্বল হবে নিম্নচাপ। 


ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কাটলেও, এর প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গজুড়েই বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে দু’-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীকাল নদিয়া, মুর্শিদাবাদ দুই ২৪ পরগনা কলকাতা ও হাওড়ায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। 


প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, সিইএসসি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলা হচ্ছে। গাছ কাটার কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চালু রয়েছে কলকাতার সবকটি পাম্পিং স্টেশন। বৃষ্টি বেশি হলে দ্রুত নিকাশির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।