পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা দেহটি দেখতে পান। কম্বল চাপা দেওয়া অবস্থায় পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহটি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই যুবককে রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে মাঝেমধ্যেই থাকতে দেখা যেত। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, খতিয়ে দেখছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। (Kolkata News)

রোজ বহু মানুষই রবীন্দ্র সরোবরে হাঁটতে যান। আজ সকালেও হাঁটতে গিয়েছিলেন অনেকে। সকাল ৯টা নাগাদ তাঁরাই যুবকের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। স্টেডিয়ামের নীচের বারান্দায়, কম্বল চাপা দেওয়া অবস্থায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রয়েছে এক যুবক। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রবীন্দ্র সরোবর থানায় পুলিশ। (Rabindra Sarobar Stadium)

পুলিশ এসে ওই যুবককে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই যুবককে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবককে প্রায়ই রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে দেখা যেত। বয়স হবে ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল, জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। 

ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। রবীন্দ্র সরোবরের সব গেট বন্ধ থাকে। তার মধ্যে কী করে ওই যুবক সেখানে ঢুকতেন, থাকতেন, উঠছে প্রশ্ন। রবীন্দ্র সরোবরের কর্মীরা জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যেই ওই যুবককে দেখা যেত সেখানে। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি মারা গিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবকের আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।

এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। ওই যুবকের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা সম্ভব হবে। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবরের মতো জায়গায় এই ঘটনা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 

অন্য দিকে, ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে গুলিকাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ভরদুপুরে মহম্মদ ইমদাদুল হক নামে বছর ২৭-এর যুবককে গুলি করে পালায় তিন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থল থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সদর দফতরের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। আশেপাশে রয়েছে কমিশনারেটের একাধিক আধিকারিকের অফিস। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দুষ্কৃতীরা এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠার সাহস পাচ্ছে কী করে?