শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের একাংশ যখন ধ্বংসস্তূপ, তখনই বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হল (Bomb Recovery) তুফানগঞ্জে (Tufanganj)। খবর ছড়াতেই এলাকায় চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই খবর গিয়েছে তুফানগঞ্জ থানায়। 


যা জানা গেল...
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ বসাকের বাড়ির সামনে থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। তুফানগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাবু পাড়ায় থাকেন প্রসেনজিৎ। আজ সকালে তিনিই বাড়ির গেটের সামনে বোমাটি পড়ে থাকতে দেখেন বলে খবর। বিষয়টি চাউর হতেই তীব্র আলোড়ন ছড়ায়। এমনিতে, বোমা উদ্ধারের ঘটনা এই রাজ্যে একেবারে অপরিচিত নয়। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও পরে যে হারে বোমা উদ্ধারের ঘটনা শিরোনামে আসতে থাকে, তাতে নানা ধরনের আশঙ্কা ও জল্পনা দানা বেঁধেছিল। সেই ধারা ফলপ্রকাশের পরও পুরোপুরি থামেনিয গত ১৩ অগাস্ট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে উদ্ধার হয়েছিল ড্রামভর্তি বোমা। ঘটনার দিন সকালে আবাদ ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দারা ঝোপের মধ্যে এক়টি প্লাস্টিকের ড্রামে বোমা দেখতে পান। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। বোমা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল খতিয়ে দেখা হতে শুরু হয়। এই ঘটনার আগে, আবাদ ভগবানপুর গ্রাম থেকেই টোটোয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি ড্রাম থেকে ৬৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় টোটো চালককে।


অন্যত্রও...
চলতি মাসের গোড়ার দিকেও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। সে বার বীরভূমের খয়রাশোলে উদ্ধার হয়েছিল ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। রামপুরহাটেও বিস্ফোরক মেলে। ঘটনার দিন বিকেলে খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর গ্রামে ঝোপের মধ্যে  প্লাস্টিকের ড্রাম দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। পরে পুলিশ গিয়ে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই বোমা মজুত করা হয়েছিল বলে স্থানীয়দের অনুমান। ওই ঘটনার কয়েকঘণ্টা পরেই রামপুরহাটের রদিপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১২ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে পুলিশ। ৬০টি পিচবোর্ডের বাক্সে বিস্ফোরক রাখা ছিল। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল, জানতে ছান-বিন শুরু করে রামপুরহাট থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন:১৪৪ ধারা জারি করেছিল, আটকাতে পারল ? তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর