রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বাগান থেকে উদ্ধার জারভর্তি বোমা (bomb jar)। মুর্শিদাবাদের (murshidabad)ঘটনা। নির্দিষ্ট করে বললে ফরাক্কার (farakka) অর্জুনপুর এলাকার নৌকাঘাট সংলগ্ন একটি বাগান থেকে জারভর্তি বোমাগুলি মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, বাগানটি ইয়াকুব খান নামে এক ব্যক্তির।


কী ভাবে খোঁজ?


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইয়াকুব খানের ওই বাগানে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিল বিশাল বাহিনী। তল্লাশি করে জারভর্তি বোমা মেলে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয় পুলিশ। কিন্তু কে কেন বোমাগুলি রেখেছিল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, ইয়াকুব একজন সিপিএম কর্মী। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেটা মাথায় রেখেই এলাকায় অশান্তি ছড়াতে বোমাগুলি মজুত করেছিলেন ইয়াকুব, অভিযোগ তৃণমূলের। সিপিএমের ফরাকা ব্লক উত্তর  এরিয়া কমিটির সম্পাদক দিলীপ মিশ্র কোনও অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ইয়াকুব মোটেও সিপিএম কর্মী নন। দিলীপের কথায়, ওই সব 'সমাজবিরোধী' তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ। পুরোটাই মিথ্যা ফাঁসানোর চেষ্টা, বলছে সিপিএম।


বোমার তাণ্ডব বার বার...


চলতি মাসের গোড়াতেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা শোনা গিয়েছিল মুর্শিদাবাদে। ডোমকলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, গভীর রাতে পাটখেতে বসে বোমা বাঁধছিল দুই দুষ্কৃতী। তখনই ফেটে যায় সেটি। মৃত্যু হয় এক জনের। আর এক জনের দুটি হাতই উড়ে যায়। পুর এলাকার মধ্যে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। ঘটনা হল এই ধরনের ঘটনা মুর্শিদাবাদে নতুন নয়। জেলার নানা প্রান্তে প্রায়ই এমন কিছু ঘটতে শোনা যায়। কখনও বোমা উদ্ধার, কখনও বিস্ফোরণ কখনও আবার মারপিটের কারণে বার বার শিরোনামে আসে মুর্শিদাবাদ। তা হলে কি যথেষ্ট সচেতন নয় প্রশাসন? প্রশ্ন উঠছেই। 


আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলা বিধানসভাতেও ক্রস ভোট! কার ১টি ভোট পড়ল দ্রৌপদীর পক্ষে?