কলকাতা : প্রায় আড়াই বছর পরে বউবাজারে ফিরল সেই আতঙ্ক। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারে (Bowbazar) ফের ফাটল দেখা গেল। সন্ধে থেকে বউবাজারের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিতেই আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, ফের কেন এই পরিস্থিতি ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, "২০১৯-এ যেটা ছিল প্রথম অভিজ্ঞতা, ২০২২-এ সেটা রিপিট হচ্ছে। এগুলো কলকাতার পুরনো বাড়ি। এগুলিকে ইটের বাড়ি বলা হয়। এই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরার মূল কারণ, এর যে ভীত সেটা সরতে শুরু করলে তখনই ফাটল হয়। টানেল বোরিং মেশিন যখন আসছিল এদিকে, তখন যে ধরনের কাঁপুনিতে মাটির তলার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছিল তাতেই এই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছিল। আবার সেই সমস্যা হলে বুঝতে হবে একই কারণ রিপিট হয়েছে। এটা দৈবযোগে হয়নি। নির্মাণের কারণেই হচ্ছে। নির্মাণকারী সংস্থা হিসেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। ফাটল কতটা চওড়া, দীর্ঘ তার ওপর নজর রাখতে হবে। যদি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ক্রমশ বেড়ে চলে, তাহলে এই ফাটলগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই বাড়ির বাসিন্দাদের প্রাথমিকভাবে ৭২ ঘণ্টা নিরাপদে থাকা উচিত।"


২০১৯-এর ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল বউবাজারে-


বুধবার সন্ধেয় ২০১৯-এর অগাস্ট মাসের সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিরল বউবাজারে। এ বারও ঘটনাস্থল সেই দুর্গাপিতুরি লেন। মেট্রোর কাজ চলাকালীন সেই সময় কমপক্ষে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে দিতে হয় বেশ কয়েকটি বাড়িও। তাতে দলবলে বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় মাথা গোঁজেন স্থানীয়রা। এ দিন সন্ধেয় সেই একই গটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে খবর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেট্রোর কাজ চলাকালীন এ দিন কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। শুধু বাড়িই নয়, রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। ফলে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।